এনআরএস কাণ্ডের জেরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে গত ৪৮ ঘণ্টায় ২১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।
এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের উপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্যের একাধিক হাসপাতাল। এনআরএসের পাশাপাশি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালেও পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। একই রাস্তায় এগোচ্ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। বিশেষ করে জরুরি বিভাগ না খোলায় একের পর এক রোগীর মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে, জরুরি পরিষেবা বন্ধ থাকায় এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৫ জনেরও বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সুপার জানিয়েছেন মঙ্গলবার ও বুধবার মিলিয়ে প্রায় ২১ জন রোগীর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ৪ জন সদ্যোজাত। আজ আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
বুধবারের মতো আজ বৃহস্পতিবারও খোলেনি হাসপাতালের বহির্বিভাগ। দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। আজ সকালে তাঁরা এসে দেখেন আউটডোর বন্ধ। টিকিট কাউন্টারেরও দরজা খোলেনি। কাউন্টার ও বহির্বিভাগ খোলার দাবিতে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই খুলে দেওয়া হয় বহির্বিভাগের দরজা। তবে চিকিৎসকরা আউটডোরের বাইরে গিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় সেই পরিষেবাও।
একই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আউটডোর খুলে পরিষেবা শুরু হয়। কিন্তু, কিছুক্ষণ পর জুনিয়ার ডাক্তাররা এসে আউটডোর থেকে চিকিৎসকদের বের করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপর থেকে সেই জায়গার হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসা বন্ধ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জেনারেল ফিজিশিয়ান বিভাগের টিকিট দেওয়া সত্ত্বেও রোগীদের চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ। টিকিট কেটে রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসে লাইনে দাঁড়িয়েও পাননি পরিষেবা। এখানেও বহির্বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধেই।