‘এভাবে পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না। চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। না ফিরলে আমরা কড়া পদক্ষেপ করব’। বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে পৌঁছে এভাবেই কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এখনও সরকারি হাসপাতালগুলিতে বন্ধ জরুরি পরিষেবা৷ গত সোমবার রাতে রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগে এনআরএস হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করে ইন্টার্নরা। সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা পরিষেবা। দূর্ভোগে পরেন রোগীর আত্মীয়রা। ৪৮ ঘণ্টা কেতে গেলেও আন্দোলনেও অনড় থাকেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা। এরপরেই বৃহস্পতিবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাসপাতালে এসেই মমতা সরাসরি চলে যান এমার্জেন্সি বিভাগে। বেশ কিছু রোগী দূরদূরান্ত থেকে এসে চিকিৎসা না পেয়ে বসেছিল, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ‘চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে সমস্ত ডাক্তারকে। পাবলিককে পরিষেবা দিতে হবে। কাজে যোগ না দিলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। কাজে যোগ না দিলে হস্টেল খালি করে দেওয়া হবে প্রয়োজনে। যত নেতা আছে ধরে নিয়ে আসুন। আমি পুলিশকে বলব যারা এখানে আন্দোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া অ্যাকশন নিতে’।
মমতা আরও জানিয়ে দেন, পরিষেবা না দিলে ডাক্তার হওয়া যায় না। এদিন চালু হয়েও ফের বন্ধ হয়ে যায় আউটডোর৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘পুলিশের নজরে আসতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ কী ভেবেছে কয়েকজন? কিছু লোক নাটক করছে৷ ডাক্তারদের কোনও ধর্ম হয় না৷ বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে অনুরোধ সহযোগিতা করুন৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ দূর দুরান্ত থেকে আসছে৷ তাদের পরিষেবা দিতে হবে’৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে পৌছতেই রোগীর পরিবারের লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। জানান, তিন দিন ধরে বিনা চিকিৎসায় পড়ে আছেন তাঁরা। একই ভাবে ক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকেরাও। তাঁদের দাবি, রোগীর আত্মীয়দের হাতে আর কতদিন আক্রান্ত হবেন তাঁরা?এরপরেই মমতা ঘোষণা করেন, চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে। রোগী পরিষেবা ব্যাহত হওয়া বরদাস্ত করা হবে না। কাজে যোগ না দিলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে’।