মেরে কেটে দেড় ঘণ্টা। দুপুর একটা থেকে আড়াইটে। এর মধ্যেই শেষ হয়ে গেল বিজেপি-র লালবাজার অভিযান। যা দেখে অনেকেই বলছেন। যতটা গর্জন হয়েছিল, ততটা বর্ষণ হল না।
দুপুর ১ টা নাগাদ লালবাজারের উদ্দেশ্যে বিজেপির মিছিল শুরু হয়। বিভিন্ন সময় পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলেই লাঠি চার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছোঁড়া হয় জলকামান। অন্যদিকে, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে বিজেপির মিছিল আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে মিছিল। সেখানেই পুলিশ-বিজেপি সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। সেই মিছিলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি নেতা রাজ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আর কোনওভাবেই লালবাজার যেতে না পেরে ‘অভিযান শেষ’ বলে ঘোষণা করে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিনের অভিযান শেষের কথা ঘোষণা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ’৫০ জনের বেশী কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয়। তাই আন্দোলন আজ এখানেই শেষ। নেতৃত্ব বসে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি তৈরি করবে’। অর্থাৎ দুপুর একটা থেকে দুটো পঁয়ত্রিশ। এর মধ্যেই শেষ হয়ে গেল বিজেপি-র অভিযান। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একবার জলকামান আর চারটে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটলেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে বিজেপির জমায়েত। এর আগেও বিজেপি-র লালবাজার অভিযানে একই জিনিস দেখা গিয়েছিল। এবারেও তাই হল। একটু ধাক্কাধাক্কি, একটু জল কামান, দু’চারটে টিয়ারগ্যাস তারপরই নেতৃত্বের ভাষণ দিয়ে কর্মসূচি শেষ।