বাংলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে একের পর এক অশান্তি লেগেই আছে। সন্দেশখালির পর এ বার জগদ্দল। বস্তুত ভোটের পর থেকেই ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল, নৈহাটি সহ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল জগদ্দলে। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। আহত আরও দুই জন।
মঙ্গলবার সকালে অশান্তি ছড়ায় জগদ্দল থানা এলাকার বারুইপাড়াতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, মূলত এলাকা দখল নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। তা ক্রমশ রাজনৈতিক হিংসার চেহারা নেয়। দু’পক্ষের বোমাবাজির ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের অভিযোগ ব্যারাকপুরের নব নির্বাচিত সাংসদ অর্জুন সিংহের নির্দেশেই এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করে রেখেছে বিজেপি।
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শনিবারই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালিতে এক জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, আদতে সন্দেশখালিতে মারা গিয়েছে তিন জন। পুলিশ ইচ্ছা করেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করছে না। বাস্তব যদি তাই হয় তা হলে গত নব্বই ঘন্টায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে শুধু উত্তর চব্বিশ পরগণাতেই মৃত্যু হল চারজনের।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা কড়া হাতে দমন করার জন্য গতকালই পুলিশকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, বিজেপি গুণ্ডামি করবে আর পুলিশ চুপ করে থাকবে তা চলবে না।