এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোপাল কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন মালেগাঁও বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ কিন্তু সাধ্বীর মতো ব্যক্তিকে লোকসভা ভোটের টিকিট দেওয়ায় অসন্তুষ্ট এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার৷ তাঁর মতে, বিস্ফোরণে অভিযুক্ত একজনকে টিকিট দেওয়া গণতন্ত্রকে আঘাত করার সামিল৷
মালেগাঁও বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বীর বিরুদ্ধে৷ কিছুদিন আগে ভোপালের এই সাংসদ মুম্বইয়ের এনআইএ আদালতে এই কেসের শুনানিতে হাজিরা দিতেও এসেছিলেন৷ এনসিপি সুপ্রিমো মনে করেন, ওই বিস্ফোরণে সাধ্বী কোনও না কোনওভাবে জড়িত ছিলেন৷
রাজ্যসভার সাংসদ শরদ পাওয়ার আরও বলেন, ‘‘বিস্ফোরণটি হয়েছিল শুক্রবার একটি মসজিদের সামনে৷ শুক্রবার দিনটি মুসলিমদের কাছে পবিত্র দিন৷ জুম্মাবার বলা হয়৷ এমন পবিত্র দিনে মুসলিমরা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে এটা আমি বিশ্বাস করি না৷ তাই বিস্ফোরণের পর যখন মুসলিমদের গ্রেফতার করা হয় তার বিরোধীতা করি আমি৷ পরে হেমন্ত কারকারে সাধ্বীকে গ্রেফতার করে৷ এখন সেই সাধ্বী দেশের সংসদে উপস্থিত থাকবেন৷’’
সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর মালেগাঁও বিস্ফোরণের মামলার বিচারপর্বে প্রথম আদালতে হাজির দিতে মুম্বই উড়ে আসেন সাধ্বী৷ শেষবার তিনি এসেছিলেন গতবছর অক্টোবরে৷ স্পেশাল বিচারক গত মাসে এই বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ৭ জনকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন৷ সাধ্বী প্রজ্ঞা সহ ৭ জনই এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত৷
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে একটি মসজিদের সামনে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে৷ তাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়৷ আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়৷ তদন্তে জানা যায়, বিস্ফোরক মজুত মোটরবাইক মসজিদের সামনে রেখে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ আর ওই মোটরবাইক সাধ্বী প্রজ্ঞার নামে নথিভুক্ত করা ছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পারেন৷ যার ফলে মালেগাঁও বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িয়ে যায় সাধ্বীর নাম৷ ওই বছরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পরে ২০১৭ সালে বোম্বে হাইকোর্ট সাধ্বীকে জামিনে মুক্তি দেয়৷