লোকসভা নির্বাচনে বাংলার পালে উঠেছিল গোপনে রাম-বাম আঁতাতের কথা। বাংলায় গেরুয়া শিবির আগেরবারের থেকে কিছুটা আসন বাড়াতে পেরেছে তা বামেদের ভোট ব্যাঙ্ক লালে না পড়ে পড়েছিল গেরুয়ায়। শীর্ষ নেতারা এই আঁতাতের কথা স্বীকার না করলেও ভোট শতাংশের পার্থক্য থেকেই সেই চিত্র স্পষ্ট। আর তার জন্যই একেবারে শূণ্য হাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সিপিএমকে। তবে এই নিচু তলার আঁতাত-ই এবার গেরুয়া শিবিরের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ভোট-পরবর্তী অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলা। বিজেপি আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীর যে তান্ডব চালাচ্ছে তা একপ্রকার পরোক্ষ স্বীকার করে নিলেন বিজেপির বিশিষ্ট নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মনিয়ান স্বামী।
এইদিন তিনি টুইট করেন বাংলার বিজেপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে। সেখানে তিনি বাংলায় তৃণমূলের ওপর অত্যাচারের কথাও বলেন। এছাড়াও তিনি বাংলায় যে সিপিএম, বিজেপির জামা পরে তৃণমূলের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে সে কথাও উঠে আসে তাঁর টুইটে। তিনি তাঁর টুইটারে লেখেন, ‘ আমি আমার কলকাতার এক উকিল বন্ধুর থেকে খবর পেলাম যে বাংলার গ্রামে সিপিএমরাই বিজেপি কর্মী হিসেবে কাজ করছে এবং তারাই তৃণমূলকে খুন করেছে।’ শুধু এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। তিনি বাংলার বিজেপিকে সতর্ক করেছেন যাতে তাঁরা সিপিএমের এই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ সহ্য না করে। তিনি লিখেছেন, ‘ যদি এই খবর সত্যি হয় তাহলে কখনই বিজেপির উচিৎ নয় সিপিএমকে এই বিশ্বাসঘাতকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া।’
বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতার কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনে রাম-বাম আঁতাতের কথা। এছাড়াও সিপিএমের ‘হার্মাদ বাহিনী’-রাই বরাবর মানুষের ওপর যে অত্যাচার চালিয়েছে তারই ঝলক এই ভোট পরবর্তী হিংসার। সিপিএমরা, বিজেপি কর্মী হিসেবে যে কাজ করছে সে কথাও পরিষ্কার হয়ে গেল। বিজেপির অত্যাচারে আজ অশান্ত বাংলা, সঙ্গে ‘দোসর’ হিসেবে সিপিএম। বাংলার মাটিতে সেভাবে জায়গা না পাওয়ায় সিপিএম কর্মীরা, গেরুয়া শিবিরে নাম লিখেছে এবং অশান্ত রেখেছে বাংলাকে।