অবশেষে দলীয় নেত্রীর পদ ছাড়লেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ তবে পরবর্তী নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলাবেন৷ গত শুক্রবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন টেরেসা। তাঁর এই পদক্ষেপের পরই নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি৷
জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে জুলাই মাসে নয়া প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন৷ ১০ জুন দলনেতা নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে। ওই দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে দলের নির্বাচন সংক্রান্ত বিশেষ কমিটি। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে মনোনয়ন দাখিলের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কনজারভেটিভ দলের ১১ জন এমপি। সেই তালিকার প্রথম সারিতে থাকতে পারেন ব্রিটেনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসন, বিদেশ সচিব জেরেমি হান্ট এবং পরিবেশ সচিব মাইকেল গোভ। ঠিক হয়েছে আগামী ১৩, ১৮, ১৯ এবং ২০ জুন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলনেতা ঠিক করবেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি রা। কমপক্ষে ২ জন কে ওই পদের জন্য বেছে নেবেন তাঁরা।
এদিকে, বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, সমস্ত সমীকরণ মিলে গেলে কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ পদে বসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনিই প্রথম এশীয় যিনি এই লড়াইয়ে নামলেন। টোরি দলের শীর্ষ পদে বসলে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে তিনিই প্রথম এই কৃতিত্বের অধিকারী হবেন৷ কয়েকদিন আগেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি পাশ না করাতে পেরে প্রধানমন্ত্রী পদ তথা দলের শীর্ষ পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছিলেন টেরেসা মে।
অনেকেই মনে করছেন, ফের মসনদ দখলে রাখা কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষে সহজ হবে না৷ তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন কাউকে দলের মুখ করার কথা ভাবছেন শীর্ষ নেতৃত্ব৷ সেক্ষেত্রে সাজিদ জাভিদ ব্রিটিশ রাজনীতিতে এক ব্যতিক্রমী মুখ হয়ে উঠতেই পারেন এবং সেটি হলে এশিয়ার কাছে তা যথেষ্ট গর্বের বিষয় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।