দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার জাতীয় উদ্যানের কাঁটাতার পেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে ১৪টি সিংহের একটি দল। ক্রুগার কর্তৃপক্ষের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার। আপাতত তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্রুগার সংলগ্ন ফালাবোরওয়া ফোস্কোর খনি এবং ফালাবোরওয়া শহরতলির আশেপাশে। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
সিংহের দল পালানোর খবর লিম্পোপো পর্যটন ও পরিবেশ দফতর বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে ফালাবোরওয়া শহরবাসী এবং ফোস্কোর খনিকর্মীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। দলটির উপর নজর রাখছেন ফরেস্ট রেঞ্জাররা।
তবে পশুগুলিকে পাকড়াওয়ের দায়িত্ব নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় লিম্পোপো প্রশাসন এবং ক্রুগার কর্তৃপক্ষের মধ্যে। ক্রুগার কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেয়, উদ্যান পেরিয়ে পশুরা লোকালয়ে চলে এলে তাদের ধরার দায়িত্ব প্রাদেশিক প্রশাসনের উপর। তাই তারা সিংহ ধরতে পারবে না। এদিকে বন্য পশু ধরার কায়দা রপ্ত নেই সরকারি অফিসারদের।
একদিকে রাস্তায় সিংহ, অন্যদিকে প্রশাসনিক টানাপোড়েনের জেরে ফালাবোরওয়াজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরিস্থিতির গুরত্ব বুঝে শুক্রবার বিকেলে বৈঠকে বসে ক্রুগার কর্তৃপক্ষ এবং লিম্পোপো প্রশাসন। বৈঠকে স্থির হয় ১৪টি সিংহই ধরে ফের ক্রুগারের ভিতর ছেড়ে আসা হবে। কিন্তু উদ্যান মুখপাত্র আইকে পাহালা বলেছেন, বাঘ–সিংহের মতো প্রজাতির পশুরা সব সময় নিজেদের এলাকা চিহ্নিত করে রাখে। তাই জঙ্গল পালানো ওই দলটিকে ফের ক্রুগারেই রাখতে গেলে সেখানের অন্য পশুদের সঙ্গে বিরোধিতা বাঁধতে পারে। যার জেরে দলটিকে ফের জঙ্গল ছাড়তে হতে পারে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ক্রুগারের মোটা-ভারী কাঁটাতার পেরিয়ে সিংহ কিভাবে বাইরে বেরোলো? দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তরাংশে লিম্পোপো প্রদেশে ৪.৯ মিলিয়ন একর বনভূমির উপর অবস্থিত ক্রুগার জাতীয় উদ্যানে রয়েছে ৫০০–র অধিক পাখি এবং ১৪৭ স্তন্যপায়ী প্রজাতির প্রাণী। পুরো উদ্যান মোটা–ভারী কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা রয়েছে।