ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর দায়িত্বগ্রহণের দিনই জানা গিয়েছিল ২০১৭ থেকে ২০১৮ অবধি দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ। যা ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে মোদী সরকারের অস্বস্তি ছিলই। এবার আরও এক ঘটনার ফলে তা আরও বাড়ল। কয়েক বছর উত্তরপ্রদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে চাকরি গিয়েছিল এক ব্যক্তির। জানা গেছে, বাবাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ৩৭ টি চিঠি লিখেছে তাঁর ছেলে সার্থক ত্রিপাঠি। ক্লাস এইটে পড়ে।
প্রতিটি চিঠিতেই সার্থক লিখেছে, তার বাবা চাকরি হারানোর পরে তাদের পরিবার রীতিমতো অভাবের মধ্যে পড়েছে। তার বাবাকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তবে তাদের পরিবার দারিদ্রের কবল থেকে মুক্তি পাবে। তাঁর বক্তব্য, বাবাকে অকারণে ছাঁটাই করা হয়েছে। জানা গেছে, ১৩ বছরের ছেলেটি ২০১৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে চলেছে। এর আগের ৩৬ টি চিঠিতে কোনও জবাব পায়নি। এবার সে লিখেছে, আমি শুনেছি, মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। সেজন্য আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, একবার অন্তত আমার কথা শুনুন।
সংবাদমাধ্যমকে সার্থক জানিয়েছে, কয়েকজন মিলে ষড়যন্ত্র করে তার বাবাকে চাকরি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এর বিহিত করার জন্যই সে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখে। সে চায়, যারা তার বাবার ক্ষতি করেছে, তাদের শাস্তি হোক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও জবাবই আসেনি মোদীর তরফে। ব্যাপারটিকে একেবারেই আমল দিচ্ছেন না তিনি৷ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই মোদীকে বিঁধতে ছাড়েননি বিরোধী থেকে শুরু করে নেটিজেনরা। প্রশ্নের মুখে তাঁর ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগান।