দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির খসড়া পেশ করেন ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির চেয়ারম্যান তথা ইসরোর প্রাক্তন প্রধান ডঃ কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন। ওই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়, অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে স্থানীয় ভাষা ও ইংরেজির সঙ্গে হিন্দি শিখতে হবে। এরপরই দেশের সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি। এরপরই চাপ সামলাতে আসরে নামতে হয় মোদী সরকারকে। দেশ জোড়া সমালোচনার মুখে পড়ে জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া থেকে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব সরিয়ে নেয় তারা। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ কমেনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পাড়ি কে পালানিস্বামীর। এবার মিছরির ছুরি চালিয়েই মধুর প্রতিশোধ নিলেন তিনি।
দেশের প্রতিটি রাজ্যে হিন্দি ভাষাকে পঠনপাঠনে বাধ্যতামূলক করার ছক কষছেন মোদী সরকার, তখন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রস্তাব দিয়ে আলতো করে খুঁচিয়ে দিলেন তাদের। টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে পালানিস্বামী লিখেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে অনুরোধ করছি তামিল ভাষাকে অন্যান্য রাজ্যেও অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে পঠনপাঠনে অন্তর্ভুক্ত করতে। একটা বড় কাজ হবে বিশ্বের এই প্রাচীন ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করলে।’ পালানিস্বামীর এই টুইটে রীতিমতো ভিরমি খেয়েছেন মোদী-সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। কারণ দেশকে হিন্দুরাষ্ট্র করতেই হিন্দি ভাষাকে পঠনপাঠনে বাধ্যতামূলক করার ছক কষছিল বিজেপি। সেখানে পালানিস্বামীর এ হেন পাল্টা প্রস্তাবে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হল তাদের।