দ্বিতীয়বারের জন্য সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লীর মসনদে ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘ আলোচনার পর তৈরি হয়েছে মন্ত্রীসভা। তবে আগেরবারের থেকে এইবার মন্ত্রীসভায় হয়েছে অনেক রদবদল। কারণ এবার বাদ গিয়েছে অনেক উল্লেখযোগ্য মুখ। যেমন মন্ত্রীসভায় দেখা যাবে না সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, সুরেশ প্রভুর মতো আরও এক ঝাঁক মুখ। শুধু বিজেপির অন্দরের নেতারাই নয়, বঞ্চিত তাঁদের শরিক দলগুলিও।
যেমন দল থেকে মাত্র একজনকে পূর্ণ মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে শপথ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন নীতীশ কুমারের জেডিইউ। আর এবার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হল মোদী সরকারের বড় শরিক শিবসেনা। হ্যাঁ, একে তো কেবল একটিই ক্যাবিনেট মন্ত্রক। তাও আবার দেওয়া হয়েছে ভারী শিল্পের মতো কিছুটা গুরুত্বহীন দফতর। এই কারণে দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রীসভায় নিজেদের বঞ্চিত বলেই মনে করছে উদ্ধব ঠাকরের দল।
প্রসঙ্গত, গতবারও ভারী শিল্প মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শিবসেনাকে। যে বন্টন নিয়ে গত ৫ বছরেও দুই শরিকের মধ্যে যথেষ্ট তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। ভোটের আগে সে সম্পর্ক কিছুটা জোড়া লাগলেও এবারও সেই একই মন্ত্রক পাওয়ায় ফের বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার তারা। ঘনিষ্ঠ মহলে শিবসেনা নেতারা বলছেন, এনডিএ-র অন্যতম পুরনো এবং সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বড় শরিক তারাই। তাই অন্তত বিমান বা রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক আশা করেছিল দল। পরিবর্তে ফের বঞ্চনার শিকার হতে হল তাদের। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই এ হেন শরিকি কোন্দল সৃষ্টি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়েছে মোদী-শাহরা।