ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করা হয় শিক্ষার বিকাশ, বুদ্ধির বিকাশের জন্য। কিন্তু এই ছাত্রছাত্রীদেরকেই বন্দুক চালানোর তালিম দিচ্ছে মহারাষ্ট্রের একটি স্কুল। জানা গেছে এই কর্মকান্ডের পেছনে রয়েছে সেখানকার বজরং দলের সংগঠন।
মহারাষ্ট্রের ঠানের মীরা রোডে ‘সেভেন ইলেভেন’ নামে ওই স্কুলের মালিক বিজেপি বিধায়ক নরেন্দ্র মেহতা। ২৫ মে থেকে ১ জুন নির্ধারিত অস্ত্রশিবির বেশ চুপিসাড়েই চালাচ্ছিল বজরং দল, কিন্তু কাল হল ফেসবুক পোস্ট। প্রকাশ গুপ্ত নামে এক অত্যুৎসাহী সদস্য এই অস্ত্রশিবিরের বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, স্কুল চত্বরেই কমবয়সি ছেলেরা, যাদের কয়েকজন সম্ভবত এখনও অপ্রাপ্তবয়স্ক, বন্দুকে গুলি ভরা, বন্দুক ছোঁড়ার কসরত করছে। একটি বেসরকারি সেবা সংগঠন সেই ছবিটি সর্বপ্রথম স্থানীয় নবঘর থানার নজরে আনে। প্রাথমিক গড়িমসির পর শেষ পর্যন্ত তদন্ত শুরু করেছে ঠানে গ্রামীণ পুলিশ।
এ ব্যাপারে আইনজীবী সঞ্জয় পান্ডে বলেছেন, বজরং দল একটি কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। অতীতে দেশের নানা জায়গায় তারা দাঙ্গা–হাঙ্গামা বাধিয়েছে। তা ছাড়া কিছু অল্পবয়সি ছেলের হাতে ওরকম মারাত্মক সব আগ্নেয়াস্ত্র থাকা খুবই বিপজ্জনক। উদ্বিগ্ন হয়েই তাঁরা পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন। ওই স্কুল এবং বজরং দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের পাত্তা দেয়নি। অভিযোগ লিখতে চায়নি। বাধ্য হয়ে তাঁরা একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়ে ফিরে আসেন। পরদিন সকালে দেখা করেন এলাকার এসডিপিও অতুল কুলকার্নির সঙ্গে। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এসডিপিও কুলকার্নি জানিয়েছেন, “উদ্যোক্তারা দাবি করেছে, প্রতিটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স আছে এবং প্রয়োজনীয় অনুমতিও তাদের নেওয়া ছিল।” সবদিক খতিয়ে দেখে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ওদিকে, স্কুলের মালিক বিজেপি বিধায়ক মেহতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এ বিষয়ে কোথাও মুখ খোলেননি।