আজ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে চলেছে বাংলাদেশ৷ তবে ম্যাচের আগে স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না বাংলাদেশ। তাদের প্রধান ব্যাটিং ভরসা তামিম ইকবালকে নিয়েই যে অনিশ্চয়তা কাটেনি!
গত শুক্রবার দলের সঙ্গে অনুশীলনের সময় বাঁ হাতের কব্জিতে আঘাত পান বাংলাদেশের ওপেনার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। স্ক্যান রিপোর্টে হাড়ে চিড় ধরা না পড়লেও তামিমকে নিয়ে উদ্বেগ ম্যাচের আগেও কাটেনি।
বাংলাদেশের বোর্ড কর্তারা দাবি করছিলেন, সাবধানতা নেওয়ার জন্যই স্ক্যান করা হয়েছে। এমনকি, স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের নির্বাচক এবং প্রাক্তন অধিনায়ক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘‘এখনই বলা যাবে না কী হতে পারে। যদি হাড়ে চিড় না ধরে তা হলে তামিমের খেলতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যদি চিড় ধরে, ওকে হয়তো পাওয়া যাবে না।’
বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য সুখবর, তামিমের কব্জির হাড়ে চিড় ধরেনি। কিন্তু এখনও ব্যথা আছে। জায়গাটা ফুলেও আছে। শনিবার ভারতীয় সময় রাত পর্যন্তও বাংলাদেশ শিবির থেকে তাঁকে নিয়ে নিশ্চিত করে বলা হয়নি যে, খেলছেনই কি না। শনিবার তামিম নেটে দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করেন ঠিকই, কিন্তু তাঁকে একেবারেই স্বস্তিতে দেখায়নি। বিশেষ করে ড্রাইভ মারার সময় তাঁকে বেশি বিব্রত দেখাচ্ছিল। কয়েক বার ব্যাট থেকে চোট লাগা হাত সরিয়েও নিতে দেখা গিয়েছে।
তামিমকে পুরো ফিট অবস্থায় না পাওয়া গেলে তাই বেশ পিছিয়ে থেকেই শুরু করতে হবে বাংলাদেশকে। দীর্ঘ কাল ধরেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রধান স্তম্ভ ধরা হয় তামিমকে। কিন্তু বাঁ হাতি আগ্রাসী ওপেনারের ফিটনেস সমস্যা ক্রমাগত ভুগিয়ে চলেছে তাঁকে এবং দলকে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচেও তামিম খেলতে পারেননি ঊরুর চোটের জন্য।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কঠিন পরীক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের চিন্তার আরও কারণ রয়েছে। তামিম ছাড়াও চোট রয়েছে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা এবং প্রধান বোলার মুস্তাফিজুর রহমানের। চোটে কাবু মাহমুদুল্লাও। একাধিক জায়গায় চোট পেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটও রয়েছে বলে উদ্বেগ বেড়েছে। এখানেই শেষ নয়। অলরাউন্ডার সইফুদ্দিনকেও ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে নামতে হতে পারে বলে খবর। যা পরিস্থিতি, বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন মিনি হাসপাতালের চেহারা নিয়ে ফেলেছে।