লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট বাজার পর থেকেই রাজ্যে বাইরে থেকে এক ‘আমদানি’ সংস্কৃতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক আবহাওয়া। কারণে অকারণে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে উত্তপ্ত ছড়িয়েছে বিক্ষিপ্ত। নিজেকে হিন্দু প্ৰমাণ করতে এই সুরে সুর মেলাতে হবে এমনই এক বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। তা ঘিরেই তৈরি হচ্ছে অশান্তি। এইবার জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাঁচরাপাড়া৷ শুরু হয় বিক্ষোভ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একদিকে পুলিশি লাঠিচার্জ যেমন চলেছে, তেমনই নেমেছে ব়্যাফও৷ সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবারের কাঁচরাপাড়ার ছবিটা অন্যরকম৷
প্রসঙ্গত, শনিবার এখানে তৃণমূলের দলীয় বৈঠক ছিল৷ সেই বৈঠকে যোগ দিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু থেকে শুরু আরও অনেকের আসার কথা ছিল৷ রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়, সুজিত বসু, বিধায়ক নির্মল ঘোষ, তৃণমূল নেতা মদন মিত্ররা একে একে আসার খবর পেয়েই রাস্তায় জমায়েত করে বিজেপি। তৃণমূল নেতাদের রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। তৃণমূল নেতাদের দেখে তাঁদের সামনেই বিজেপি সমর্থকরা ঝামেলা করার উদ্দেশ্যে ও অশান্তি বাঁধাতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শুরু করে৷ দেখতে দেখতে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হতে শুরু করে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে বলে জানা যায়৷ সেই সঙ্গে আসে ব়্যাফও৷ বৈঠক ডাকেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ঠিক হয় জেলার শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসবেন কাঁচড়াপাড়ার এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে।
ঘটনাস্থলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সাংবাদিকদের সম্মুখীন হন৷ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই সংস্কৃতি এই রাজ্যের নয়৷ যারা করছে তারা করছে৷ এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আছে, থাকবে৷ যারা দখলদারির রাজনীতি করছে তাদের মনে রাখতে হবে, মানুষ এই রাজনীতি পছন্দ করে না৷’ বারবার এইরকম ঘটনায় ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী। ‘জয় শ্রীরাম’ বা ‘ধর্ম’ নিয়ে রাজনীতি গেরুয়া শিবিরের নতুন নয়।