বিধানসভা ভোটে বিরাট জয়ের পরে সকালেই শপথ নিয়েছেন জগন। শপথের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন চন্দ্রশেখর রাও ও স্ট্যালিন। ঠিক ছিল, জগন ও কেসিআর একই বিমানে দিল্লি এসে সন্ধেয় মোদীর শপথে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু সেই কর্মসূচি বাতিল করে দক্ষিণের দুই নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও এবং এম কে স্ট্যালিনকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। দক্ষিণ ভারতের রাজনীতির এই নতুন অক্ষ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
ভোটের আগে থেকে জগন এবং কেসিআর একসঙ্গেই এগোচ্ছেন। সেটার নেপথ্যে অবশ্য কারণও রয়েছে। এ বারের ভোটে দক্ষিণকে পাখির চোখ করেছিল বিজেপি। কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে কোণঠাসা করে ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৬টি হস্তগত করেছে গেরুয়া শিবির। এর পর তাদের লক্ষ্য তেলঙ্গানা, অন্ধ্র এবং তামিলনাড়ু। বিজেপিকে রুখতে এই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে পা ফেলছেন। আর সেটা আরও একবার বোঝা গেল এ দিন জগনের শপথ গ্রহণের মঞ্চে।
জগন ও কেসিআরের সখ্য চোখে পড়ার মতো। লোকসভা ভোটে ত্রিশঙ্কু ফল হলে তাঁরা দু’জনেই ঠিক করেছিলেন সেই দলকে সরকার গড়তে সমর্থন করবেন, যে দল অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবি মেনে নেবে। ত্রিশঙ্কু হয়নি ঠিকই, কিন্তু মোদী ক্ষমতায় আসার পরই অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবি নিয়ে তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিলেন জগন। কথাবার্তা ইতিবাচক হয়েছে। কিন্তু মোদীর শপথ গ্রহণে জগন-কেসিআরের না যাওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে কি না, দেখার সেটাই।
ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে লোকসভা ভোটে লড়েছেন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঝোড়ো প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। মোদী হাওয়াকে দক্ষিণে রুখে দেওয়ার অন্যতম কারিগর জগন-স্ট্যালিন-কেসিআরের এই কাছাকাছি আসা নতুন কোনও ভবিষ্যতের জন্ম দিতে চলেছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।