‘পাঙ্গা নিলেই আমি চাঙ্গা হয়ে যাই’ – যতবারই বিজেপির রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়েছেন, ঠিক এ কথা বলেই রুখে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার নেপথ্যে তৃণমূলকে দায়ী করে বিজেপি যেভাবে প্রচার করছে, তা সত্যিই রাজ্যের শাসকদলের কাছে চরম অপমানজনক৷ তার প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীর শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পরিবর্তে তিনি পথে নেমে নিজের দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াবেন৷ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার যখন দিল্লীতে হবে নতুন মন্ত্রীসভার শপথগ্রহণ, তখন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ভাটপাড়া, নৈহাটি অঞ্চলে৷ দলনেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈহাটিতে আসার আগের দিনই নৈহাটিতে অবস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয় পুনরুদ্ধার করল তৃনমূল কংগ্রেস।
নৈহাটির পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার সম্পর্কে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “যারা আমাদের পার্টি অফিস দখল করছে তারা যেন মনে রেখে দেয় আমরা এখনও ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতা থেকে চলে যাই নি। তবে কারও দয়া করতে হবে না। আমরা আমাদের পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা রাখি। প্রশাসনকে সামনে রেখে আমরা আমাদের পার্টি অফিস উদ্ধার করেছি। তবে কারও দলীয় পতাকাকে আমরা অসম্মান করিনি। পুলিশের কাছে আমরা বিজেপির পতাকা দিয়ে দিয়েছি। পুলিশ বিজেপিকে সেই পতাকা ফিরিয়ে দেবে।”
এই কার্যালয় দিন কয়েক আগে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দখল করে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। বুধবার, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক সুনীল সিং, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক , বিধায়ক নির্মল ঘোষ সহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী রিংকু দে দত্তের উপস্থিতিতে পার্টি অফিসে পতাকা তুলে পার্টি অফিস খোলা হয়। প্রশাসন কে সামনে রেখে পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবারেই নৈহাটি পুরসভার সামনে রয়েছে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী৷ ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরানো দাবিতে দুপুরে হবে অবস্থান বিক্ষোভ৷ তাতেই যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷