সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে পুরো ভরাডুবি হয়েছে বামেরা। বাংলাতে তো বটেই সারা দেশ থেকে কার্যত সাইনবোর্ডের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এক কালের কমরেডরা। বাংলাতে বামেদের ঝুলি ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থা। একটি আসনও নিজেদের দখলে রাখতে পারেন নি। এমনকি তাঁরা তাঁদের লোকসভার দৌড় শেষ করেছে তৃতীয় স্থানে। কিন্তু এরপরও বাম নেতাদের ‘ঔদ্ধত’ যেন কমছে না। নিজেদের ভুল স্বীকার করার বদলে চলছে দোষারোপের পালা। শনিবার ফেসবুকে এমনি এক বিবৃতি পোস্ট করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
সেখানে তিনি তাঁদের এই ভরাডুবির কারণ হিসেবে নিজেদের দোষ নেই এমনি সব অদ্ভুত কারণ দেখিয়েছেন। যেন চেষ্টা চালিয়েছেন শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার। কিন্তু সেই চেষ্টা যে বিফল তা বোঝাই গেছে পোস্টের নীচে আসা অসংখ্য সাধারণ মানুষের কমেন্ট থেকেই। কেউ তাঁদের নীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন আবার কেউ নেমেছেন ব্যক্তি সমালোচনায়। অনেকে আবার তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছেন অবিলম্বে সিপিএমের নেতৃত্বে পরিবর্তনের প্রয়োজন। যেমন একজন সরাসরি লিখেছেন, ‘এখনও সময় আছে, বিমানবাবুকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান।’ আবার অনেকে সরাসরি সিপিএমের এই দুর্দিনের জন্য সরাসরি দায়ী করেছে সূর্যবাবুকেই। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের পোস্টে উঠে এসেছে সম্প্রীতির কথা, শান্তির কথা এবং কিছু তথাকথিত ‘বামপন্থার’ কথা বার্তা। আর সেই নিয়ে দলীয় সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে হাসির খোরাক। কেউ সরাসরি সিপিএমের নীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন আবার কেউ বলেছেন যে ৩৪ বছরের অত্যাচারের পরেও আপনাদের মুখে সম্প্রীতির কথা মানায় না। আবার কেউ কেউ ‘সূর্য্যবাবুর বিবৃতি’ বলেও কটাক্ষ করছে।
শুধু এখানেই শেষ নয়। কিছু মানুষ বামপন্থীদের এই তথাকথিত কথাতে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে গেছেন সেটা বোঝা গেছে। কেউ কেউ আবার সরাসরি গালাগালি দিয়েছেন সিপিএমের নীতি আদর্শকে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ আবার সরাসরি রাম-বাম আঁতাতের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সূর্যবাবুকে। তাঁদের হারের পেছনে এই ‘নেপথ্য সমর্থন’-ই যে দায়ী বারবার মনে করিয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষেরা।