সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কিছুটা হলেও আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। আর প্রকাশ্যে না হলে নেপথ্য থেকে বিজেপির এই উত্থানকে সাপোর্ট করেছে সিপিএম। মুখে কেউ কিছু না বললেও রাজনৈতিক মহলের অন্দরে এই খবর কারোর অজানা নয়। আর সেই রাম-বাম আঁতাতই এখন বুমেরাং হয়ে গেছে বামেদের তা ভালোই বুঝতে পারছেন বাম নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে সিপিএমের এক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভাটপাড়া পৌরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনগ্রাম বাজারে সিপিএমের পার্টি অফিস দখল করেছে বিজেপি। আর তারপরই এসে বাম সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের কমেন্টের বন্যা। কেউ সরাসরি সিপিএমের নীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন আবার কেউ মনে করিয়ে দিয়েছেন যে এই অত্যাচারের গল্প সিপিএমেরই শুরু করা। তাই এইসব বলে সমবেদনা বা সমর্থন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।
লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় যে রাম-বামের আঁতাত হয়েছে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। আর তা নিয়ে চলেছে তীব্র সমালোচনা। বামেদের নীতি আদর্শ নিয়েও চলেছে কটাক্ষ। কেউ কেউ সরাসরি প্রশ্ন তুলেছে যে কি করে এই আঁতাত করল বাম নেতৃত্ব? তখন কোথায় গেল বামেদের নীতি কথা?
শুধু এখানেই শেষ নয়। কিছু মানুষ বামপন্থীদের এই তথাকথিত কথাতে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে গেছেন সেটা বোঝা গেছে। কেউ কেউ আবার সরাসরি গালাগালি দিয়েছেন সিপিএমের নীতি আদর্শকে। এই লোকসভা নির্বাচনে বামেদের নেপথ্য গল্প যে কারোরই অজানা নয় সেটাই বুঝিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার বাম সমর্থকরা।