প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্টের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের আগে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল ইডি। এবার ভোট মিটতেই রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে ফের তৎপর ইডি। কালো টাকা সাদা করার একটি মামলায় রবার্ট বঢরার মঞ্জুর করা আগাম জামিন নাকচ করার জন্য দিল্লী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। সম্ভবনা ছিল ভোটের আগেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামীকে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ট্রায়াল আদালতে গিয়ে জামিনের আবেদন করেন রবার্ট। ১ এপ্রিল সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। তারপরে আবারও ইডির টার্গেট রবার্ট।
মোদী ভোট প্রচারের ঠিক আগেই রবার্টের বিরুদ্ধে এই ছক কষেছিল। কেবল মাত্র ভোটের আগে এই ব্যাপারটাকে একটা ইস্যু করার জন্য। রবার্ট জানিয়েছিলেন, “যদি সত্যি বেআইনি কিছু হয়ে থাকে, তবে সরকার ৪ বছর ৮ মাস ধরে কী করছিল? ঠিক লোকসভা ভোটের প্রচারের আগেই আমাকে ডাকা হল কেন? ওরা কী মনে করছে মানুষ বুঝবেন না যে এটা নির্বাচনী ভাঁওতা”?
অভিযোগ ছিল, লন্ডনে ১৯ লক্ষ পাউন্ড দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনার সময় নিজের কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ আনা হয়েছে বঢরার বিরুদ্ধে। ভদ্রের দফতরে তল্লাশি চালিয়ে ইডি অফিসারেরা প্রায় ২০ হাজার পাতার নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে। ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে আগাম জামিনের দাবি করেন রবার্ট । আদালত সেই দাবি মঞ্জুরও করেছিল। কিন্তু ভোট মিটে যেতেই, গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় আসার পর ইডি ফের হাত ধুয়ে নেমে পড়েছেন রবার্টের বিরুদ্ধে।
ইডি জানিয়েছিল, রবার্টকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দরকার আছে। কিন্তু এই কথা অমান্য করেন বঢরার আইনজীবী। আর এবার ভোট মেটার পর, ফের ইডির টার্গেটে বঢরা। ইডি-র উকিল ডি পি সিং শুক্রবার হাইকোর্টে বলেন, “বঢরাকে ছেড়ে রাখা এই মামলার তদন্তের উদ্দেশ্যের পরিপন্থী হয়ে যাচ্ছে”। অন্যদিকে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মনোজ অরোরার আগাম জামিনেরও বিরোধিতা করেছে ইডি। সম্ভবত সোমবার এই মামলা দু’টি আর্জির শুনানি হবে।