রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গেলেও প্রায় আড়াইগুণ ভোট বাড়ালো তৃণমূল। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির ভাই পবিত্ররঞ্জন দাসমুন্সি পেয়েছিলেন ১৯৮৬৯৮ ভোট। চতুর্থ স্থান ছিল তাঁর। এবার তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল পেয়েছেন ৪৫১০৭৮ ভোট। অন্যদিকে, একসময় কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত এই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সির ভোট নেমে এসেছে ৬.৮২ শতাংশে। দীপা পেয়েছেন মাত্র ৮৩৬৬২ ভোট। তাঁর ভোট কমেছে ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি।
গতবার রায়গঞ্জের জয়ী প্রার্থী সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিম এবার পেয়েছেন ১৪.৪০ শতাংশ ভোট। ২০১৪ সালের ভোটে এই কেন্দ্রে জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম ভোট পেয়েছিলেন ৩১৭৫৫১। এবার সিপিআইএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের ভোট কমেছে ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি। পরিসংখ্যান থেকে পরিষ্কার, তৃণমূল ভোট বাড়ালেও বিরোধী সিপিআইএম ও কংগ্রেসের ভোট বেশিরভাগটাই গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। এবারের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি ৬০৫৭৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়ালকে। দেবশ্রী চৌধুরী পেয়েছেন ৪০.৪৯ শতাংশ ভোট। ৩৫.৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন কানাইলাল। তবে বাম-কংগ্রেস নিজের ভোট ধরে রাখতে না পারাতেই বিজেপি এর সুযোগ নিয়েছে।
তৃণমূল প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণে ঘরোয়া বৈঠক শুরু করেছেন জেলা তৃণমূল নেতারা। তবে জেলাস্তরের তৃণমূল নেতাদের অনেকেরই অভিযোগ, সিপিআইএম, কংগ্রেসের ভোটেই রায়গঞ্জে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। অভিযোগ, তৃণমূলকে হারাতেই নাকি সিপিআইএম এবং কংগ্রেস সমর্থকদের গোপন নির্দেশ ছিল বিজেপির পদ্মফুলে বোতাম টিপতে। যদিও দুটো দলের নেতৃত্বই এমন নির্দেশের কথা অস্বীকার করেছে।