গত ২২ ফেব্রুয়ারি তারকেশ্বরের প্রশাসনিক সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস করেছিলেন। এবার শুরু হয়ে গেল সেই কলেজের কাজ৷ আগামী ২ বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাবে এই মেডিক্যাল কলেজ৷
আরামবাগ মহকুমা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে খুশির হাওয়া। কাজ শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে। এই প্রসঙ্গে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের সুপার শিশিরকুমার নস্কর বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে এই মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে ঠিক আছে। একটা সম্পূর্ণ মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য যা যা প্রয়োজন, সবই তৈরি হবে। থাকছে দশতলা বিশিষ্ট ওপিডি অর্থাৎ আউট পেসেন্ট ডিপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স। থাকছে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারীদের আবাসন। আপাতত কুড়ি একর জায়গার ওপর এই কলেজ গড়ে উঠতে চলেছে।’
এই প্রসঙ্গে আরামবাগের পুরপ্রধান স্বপন নন্দী বলেন, ‘এটা আরামবাগবাসীর কাছে একটা স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। এর ফলে শুধু রোগীরা উপকৃত হবেন তা নয়, বহু প্রতিভা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীও এই কলেজে পড়াশোনা করে আগামিদিনে ভাল চিকিৎসক হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।’
এই কলেজের ফলে শুধু আরামবাগ মহকুমা নয়, পার্শ্ববর্তী বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, বর্ধমান–সহ আশেপাশের জেলাগুলির বহু মানুষ উপকৃত হবেন। একদিকে তাঁরা যেমন উন্নতমানের চিকিৎসা পাবেন, তেমনি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে বর্ধমান বা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ছুটে যেতে হবে না। শিলান্যাস করেছিলেন। অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই এই হাসপাতালে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল তৈরি করার অনুমোদন পাওয়া গেছে। এর ফলে এখানে মেডিক্যাল কলেজ হলে অনেক সুবিধা হবে।