জলুবাবুর এলাকা কালীগঞ্জ থেকে বিপুল জয়ের সম্ভবনা দেখছে তৃণমূল। এই বিধানসভা এলাকা থেকে বিজেপির পিছিয়ে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এখানে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ‘মাইনাস’ পেতে পারেন। ‘লিড’ নিতে পারেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক একচেটিয়া নিজেদের ঝুলিতে টেনেই বাজিমাত করেছে শাসক দল।
কালীগঞ্জে বিজেপির সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবুর ‘টনিক’ও কাজ হয়নি। ২৯ এপ্রিলের হাল হকিকত পেয়ে বিজেপি নেতাদের একাংশ স্বীকার করছেন, মাইনাস হবে কালীগঞ্জে।
কালীগঞ্জে এবার ভালো ভোট করেছে শাসক দল। সিংহভাগ বুথে বিজেপি এজেন্ট দিতে পারেনি। একমাত্র তৃণমূলের নির্বাচনী ক্যাম্প ছাড়া বিরোধী কোনও দলের ক্যাম্প দেখা যায়নি। এই বিধানসভা এলাকায় ৬০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। সংখ্যালঘু ভোট একচেটিয়া টেনেই বাজিমাত করেছে শাসক দল।
তাঁরা প্রার্থীর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। কালীগঞ্জে একদা কংগ্রেসের ভালো প্রভাব ছিল। তবে ২০১৬ সালে কংগ্রেস বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ তৃণমূলে আসার সময় অনেকেই দল ত্যাগ করেছেন। সকলেই প্রায় এখন শাসক শিবিরে। তবে যে কয়েকজন ব্লক কংগ্রেস নেতা রয়েছেন, তাঁরা এবার দলীয় প্রার্থীর হয়ে খুব একটা খাটেননি। কংগ্রেসের জেলা নেতাদেরও কালীগঞ্জে প্রচারে দেখা যায়নি। কালীগঞ্জের তৃণমূল ব্লক সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সংখ্যালঘু ভোট আমাদের একচেটিয়া এসেছে। জলুবাবুর বাড়ি পানিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আমাদের লিড আসবে। ২০১৪ সালেও আমরা কালীগঞ্জ থেকে লিড দিয়েছিলাম। এবারও আমাদের লিড থাকবে ১৫ হাজারের বেশি। বাম বা কংগ্রেসের ভোট কিছু বিজেপির দিকে সুইং করেছে ঠিকই। তবে তা নিয়ে আমরা একেবারেই চিন্তিত নই।’ বিজেপি নেতারাও স্বীকার করে নিচ্ছেন কালীগঞ্জে ‘মাইনাস’ হবে।