আজব রাজার দেশ। ভোটের প্রচারে প্রতিশ্রুতির বন্যা বয় কিন্তু বাস্তব যে অনেক আলাদা। এমনই অনেক প্রতিশ্রুতি নিয়ে পাঁচ বছর আগে দিল্লী কুর্শি দখল করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে পাঁচ বছর পর হিসাব মেলাতে বসে সব প্রতিশ্রুতি কি রাখতে পেরেছেন তিনি? দ্বন্দ্বে ভারতের জনগন। একটু পিছিয়ে দেখা যাক একটি চিত্র। ২০১৬ সালে রীতিমতো সভা করে তাঁর হাতে রান্নার গ্যাসের কার্ট আউট তুলে দিয়েছিলেন। তিনিই ছিলেন মোদী সরকারের ‘উজ্জ্বলা যোজনা’র মুখ। তাঁর এবং নরেন্দ্র মোদীর একসঙ্গে ছবি দেখতে পাওয়া যায় দেশের প্রতিটি পেট্রল পাম্পে। গরিব মানুষকে রান্নার গ্যাসের কতটা কাছে এনে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তারই নিদর্শন সেই সব ছবি। কিন্তু বাস্তবটা যে অন্যরকম।
বাস্তবে সেই মহিলা, অর্থাৎ গুড্ডি দেবীর প্রতিদিনের জীবনে কিন্তু গ্যাসের নামগন্ধ নেই। বরং গোবর থেকে ঘুঁটে তৈরি করে তা দিয়েই উনুন জ্বালান তিনি। বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই চিত্র। চরম দারিদ্র। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। নরেন্দ্র মোদী যেদিন তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন সেই কাগজপত্র, কার্ট আউট, তারপর পেরিয়ে গিয়েছে তিন বছর। আর এই তিন বছরে মাত্র ১১টি গ্যাস সিলিন্ডার কেনার সামর্থ্য হয়েছে গুড্ডি দেবীর পরিবারের।
কেন এই অবস্থা? প্রশ্ন করা হলে গুড্ডি দেবীর গলায় হতাশার সুর। বলেন, ‘এত দাম বেড়ে গিয়েছে গ্যাসের! কোথায় পাব অত টাকা?’ শুধু তিনি নন। মোদীর এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত মাত্র ৩০ শতাংশ গ্যাস নিতে আসেন। এমনও তথ্য সামনে এসেছে। এবারের নির্বাচনে বারাবার উজ্জ্বলা যোজনার কথা বলছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই যোজনারই যা হাল, তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। অদূর ভবিষ্যতেও দেশের গরিবদের কোনো সুরাহার পথ দেখা যাচ্ছে না।