একই প্রতিপক্ষ, একই উত্তেজনা এবং পরাজয়৷ গতকাল চিদম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে চেন্নাইকে হারিয়ে দিল মুম্বই৷ ম্যাচের পরে হতাশ ধোনি জানালেন, পিচ বুঝতে পারেননি তিনি৷
টস জিতে ঘূর্ণি পিচে ধোনিরা আটকে গেলেন চার উইকেটে ১৩১ রানে। সৌজন্যে লেগস্পিনার রাহুলের চার ওভারে ১৪ রানে দু’উইকেট। তার পরে ঠান্ডা মাথায় সূর্যকুমারের ব্যাটিং। এই সূর্যকুমারই কয়েক বছর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলে গিয়েছে। এই পিচে তিন নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে কী ভাবে খেলতে হয়, দেখিয়ে দিল সূর্য। ওকে মুম্বই ধারাবাহিক ভাবে প্রথম দিকে ব্যাট করতে নামিয়েছে। রোহিতের পুরো ভরসা ছিল সূর্যের উপরে। সূর্য সেই আস্থার মর্যাদা দিল ৫৪ বলে অপরাজিত ৭১ রান করে।
চেন্নাইয়ের ছুড়ে দেওয়া ১৩২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি মুম্বই ব্রিগেডকে। শুরুর দিকে দ্রুত দুই ওপেনারের উইকেট হারালেও দলের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব। ৫৪ বলে অপরাজিত ৭১ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার করেন তিনি। যার দৌলতে খুব সহজেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে মুম্বই। ১৮.৩ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় তারা। রোহিত শর্মা ২ বলে মাত্র ৪ রান করেন।
মুম্বইকে যে দুই তরুণ এ দিন ফাইনালে তুলে দিল, তাদের নাম রাহুল চাহার এবং সূর্যকুমার যাদব। পাশাপাশি অবশ্য আরও দু’জনের কথা বলতে হবে। মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং ওদের কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে। রোহিত দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিল। ঘূর্ণি পিচে ঠিকঠাক বোলিং পরিবর্তন থেকে ব্যাটিং অর্ডার সাজানো, সব কিছুইতেই পুরো নম্বর দিতে হবে মুম্বই অধিনায়ককে। প্রথম এগারোও খুব ভাল বেছেছিল। এর পিছনে কোচ জয়বর্ধনের ভূমিকাও আছে৷
সেই ২০১০ সালের পর থেকে মুম্বইকে নিজেদের মাঠে হারাতে পারেনি চেন্নাই। এ দিনও পারল না। কাগজে কলমে চেন্নাইয়ের স্পিন আক্রমণ মুম্বইয়ের চেয়ে ভাল। ইমরান তাহির, হরভজন সিংহ, রবীন্দ্র জাডেজা। উল্টো দিকে রাহুল, ক্রুণাল পাণ্ড্য আর জয়ন্ত যাদব। ধোনি হয়তো ভেবেছিল, এই স্পিন আক্রমণ সামলে দেবে সিএসকে ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু পিচ এবং পরিবেশকে খুব ভাল কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করে দিল মুম্বইয়ের স্পিন ত্রয়ী। পাশাপাশি মুম্বইয়ের ভারসাম্য খুব ভাল। যে কোনও পরিস্থিতিতে খেলতে পারে।
চেন্নাই সুপার কিংসকে এখন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে বিশাখাপত্তনমে দিল্লি-হায়দরাবাদ ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে। জিতলে ফাইনাল, না হলে এ বারের মতো আইপিএল শেষ।