লোকসভা নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই ইসলামপুরে বিধানসভা উপনির্বাচন এসে গিয়েছে। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা। আর লোকসভার মত এখানেও পিছিয়ে পড়ছেন বিরোধীরা। প্রচার তো দূরের কথা, বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের দেখাই মিলছে না।
ইসলামপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবদুল করিম চৌধুরীর সমর্থনে চুটিয়ে প্রচার করছেন লোকসভায় এখানকার তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল। প্রথম দিন থেকেই প্রচারে ঝড় তুলছেন তাঁরা।
অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি বরাবরই বছরের বেশির ভাগ সময় জেলার বাইরে থাকেন। এবার লোকসভা ভোটের আগে জেলায় এসে তিনি মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। কংগ্রেসের ক্ষতগুলি মেরামতের চেষ্টা চালান। কিন্তু লোকসভা ভোট পার হতেই তিনি আবার জেলা ছাড়া। একই অবস্থা বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী ও সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের। তাঁরা দীপাদেবীর মতো জেলার বাসিন্দা নন বটে। কিন্তু নিজেদের ভোট পার করেই আরেকটা নির্বাচনের মুখে তাঁরাও জেলায় নেই।
লোকসভা ভোটের প্রচারে এই ঘটনা রাজ্যের শাসকদলের হাত তুলে দিয়েছিল বড় অস্ত্র। তারা বিরোধী প্রার্থীদের ‘ভোট পাখি’ বলে জোর প্রচার তুলেছিল। এবার বিধানসভা উপনির্বাচনের সামনে এই প্রসঙ্গটি আবারও সামনে আনছে তৃণমূল। আর এনিয়ে বিরোধী শিবিরের অন্দর মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও চর্চা ছড়িয়েছে। যদিও ওইসব নেত্রানেত্রীদের দলের দাবি,তাঁরা দলের প্রয়োজনেই অন্যত্র নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। উপনির্বাচনের আগে যথাসময়ে এলাকায় আসবেন। তবে তাতে চিঁড়ে ভিজছে না।
এই একই চিত্র নওদাতেও। এখানেও একচেটিয়া প্রচার করছে তৃণমূল আর গোষ্ঠীদ্বন্দে জেরবার বিরোধীরা। নওদাতে আদাজল খেয়ে ভোটযুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডলের নেতৃত্বে তারা ময়দান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মানুষ বিপুল ভাবে সাড়া দিচ্ছেন প্রচারে।
উল্লেখ্য, ২০মে এখানে উপনির্বাচন। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় প্রার্থী সাহিনা মমতাজ বেগমকে নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। এই এলাকা জেলা পরিষদের সভাধিপতির খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। সোমবার সভাধিপতি এই কেন্দ্রের অন্তর্গত বেলডাঙা-১ ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রার্থী ছাড়াও বেলডাঙার তৃণমূল নেতা বনতোষ ঘোষ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রার্থীকে নিয়ে বুথস্তরে বৈঠক, পথসভা, পদযাত্রা, রোড-শো, পাড়া বৈঠক, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। সভাধিপতি বলেন, বিরোধী শিবির নড়বড়ে হলেও আমরা অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ। লোকসভা ভোটে যা লিড আসবে, তারচাইতে বেশি লিড হবে উপনির্বাচনে। উন্নয়নকে সামনে রেখে এলাকা চষে বেড়াচ্ছি।