বিজেপি যা খুশি বলতে পারে। কিন্তু সেটাকেই সারা দেশ মানবে না। মঙ্গলবার বাঁকুড়া রানিবাঁধে দলের হেভিওয়েট প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভায় এভাবেই বিজেপিকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সাফ কথা, ‘তুমি যাকে বলবে, তাকেই মানতে হবে নাকি! আমি মানব না’। বিজেপি ও আরএসএস-এর উদ্দেশ্যে মমতার কটাক্ষ,
‘নিজেদের দেশপ্রেমিক বলার আগে উত্তর দিতে হবে নাথুরাম গডসে কে?’ আরএসএসের সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল? দুর্গাপুজো নিয়ে বিজেপির তোপের জবাবে তাঁর পালটা প্রশ্ন, দেবী দুর্গার ক’টা হাত? তাতে কী কী অস্ত্র থাকে? এসব কি বিজেপি নেতাদের জানা?’
মাওবাদী দমনে তৃণমূল সরকারের সাফল্য তুলে ধরার জন্য এদিন বাঁকুড়ার মাটিকে যথাযথভাবেই ব্যবহার করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘বাম আমলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল মাওবাদী আতঙ্কে কাঁপত৷ আমরা মাওবাদী দমন করে এখানে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি৷ পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে এখনও সক্রিয় মাওবাদীরা৷ অথচ সেখানকার বিজেপি শাসিত সরকার এখনও সমস্যা মেটাতে পারছে না৷ বিজেপি শাসিত ছত্তিশগড়েরও একই অবস্থা৷’ অর্থাৎ মাওবাদী দমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিজেপি যে বেশ কয়েক কদম পিছিয়ে, সেটাই এদিন জনতাকে বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সঙ্গে মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে বলেন, ‘মোদী এখন নোটবন্দী করেছেন। কোনওদিন ব্যাঙ্ক বাতিল করে দেবে’।
দিল্লী দখলের লড়াইয়ে এবার বাঁকুড়া থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো এগিয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ রাজনীতিক তথা রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে৷ ভোট দিয়ে তাঁকে জয়ী করার আবেদন জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘কেন্দ্রে আর নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চাই না৷ কারণ, ওরা বলেছিল ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবে সবাইকে৷ দেয়নি৷ আচ্ছে দিন আনবে বলেছিল৷ আসেনি৷ বদলে গ্যাস, ডিজেল, পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে৷ নোটবাতিল করেছে৷ এবার ব্যাংকগুলোকেও বাতিল করে দেবে৷ কোনও কাজ করেনি ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে৷ শুধু দাঙ্গা করে বেরিয়েছে৷’