বিজেপি ও আরএসএস চিরদিন সংরক্ষণের বিরোধী। ওদের লক্ষ্য সংবিধান বদলে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সংরক্ষণের সুবিধা তুলে দেওয়া। অন্যদিকে, ক্ষমতায় এলে জাতি ভিত্তিক সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের কোটা তুলে দেবে কংগ্রেস। দলিত, পিছিয়ে পড়া জনজাতি ও আদিবাসীরা যাতে সংরক্ষণের সুবিধা পান সেই লক্ষ্যে এই সুবিধা যতদূর বাড়ানো যায় বাড়ানো হবে। সোমবার মধ্যপ্রদেশের রাতলামে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমনই ঘোষণা করলেন রাহুল গান্ধী।
সোমবার রাতলামে সংবিধান হাতে নিয়ে রাহুল বলেন, বিজেপি চাইছে দেশের সংবিধানকে শেষ করে দিতে। রাহুলের কথায়, ‘বিজেপি ও আরএসএসের লক্ষ্য সংবিধানকে ধ্বংস করা এবং সংরক্ষণ তুলে দেওয়া। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটের লক্ষ্য সংবিধানকে রক্ষা করা। এই সংবিধান আপনাদের জল, জঙ্গল ও জমির অধিকার দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী চান সেই অধিকার তুলে দিয়ে সব ক্ষমতা নিজের হাতে নিতে।’
আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে সোনিয়া পুত্র বলেন, ‘বিজেপি ঘোষণা করেছে ওরা ক্ষমতায় এলে সংবিধানটাকেই বদলে দেবে। সেই জন্য ৪০০ পারের স্লোগান দিচ্ছে ওরা। কিন্তু ৪০০ ভুলে যান ১৫০ আসনও পাবে না বিজেপি। ওরা দাবি করেছে, ক্ষমতায় এলে সংরক্ষণ তুলে দেবে ওরা। এই মঞ্চ থেকে আমি আপনাদের ঘোষণা করছি, আমরা ক্ষমতায় এলে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের উর্ধ্বসীমা তুলে দেব। এবং গরিব, দলিত, আদিবাসীদের স্বার্থে সংরক্ষণের সীমা যতদূর বাড়ানো প্রয়োজন ততদূর বাড়াব।’