‘পরিবর্তন হবে দিল্লীতে। বিজেপি বকধার্মিক পার্টি।ওদের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে’। মঙ্গলবার তৃতীয় দফা ভোটের দিন এভাবেই গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে মমতা বলেন, ‘টাকার ব্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আরএসএস। ঘুরছে বিজেপি। কিন্তু কোনও লাভ হবে না। এবার বিজেপি হারবেই। দিল্লী থেকে বিদায় নিতে হবে বিজেপিকে’।
এদিন প্রচার সভা থেকে বিজেপি ও মোদী সরকারকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, ‘মোদীবাবু হলেন বসন্তের কোকিল। ভোট এলেই উনি আসেন। মনে পড়ে বাংলার কথা। বাংলার সংস্কৃতি জানেন না, বাংলায় অপসংস্কৃতির প্রলাপ বকে যান’। গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে বলেন, ‘বিজেপির রামের নামে বদনাম করছে। ধর্মের নামে হিংসা ছড়াচ্ছে। নিজেদেরকে গদাপার্টি আর তরোয়াল পার্টিতে পরিণত করেছে। উঠল বাই তো মক্কা যাই। হঠাৎ করে গদা আর তরোয়াল নিয়ে বেরিয়ে পড়ল’। এই মর্মেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আমি দাঙ্গা-হিংসা সমর্থন করি না। মিথ্যা কথা বলে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করলে ছেড়ে কথা বলব না আমি’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘বিজেপি সুবিধার জন্য, সাত দফায় ভোট করেছে। পাঁচ বছরে কোনও কাজ করেনি বিজেপি। মানুষের বিপদে পাশে থাকে না। এখন ভোটের সময় মিথ্যা কথার ফুলঝুরি ছড়াচ্ছে। বছর দু-কোটি করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি সরকার। চাকরি তো দিতে পারেইনি, উল্টে পাঁচ বছরে দু-কোটি চাকরি কেড়ে নিয়েছে কেন্দ্রের সরকার’।
এদিনের সভায় ফের কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করেন মমতা। মালদার ইংরেজবাজার এবং ইটাহারের বেশ কয়েকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে প্রচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাহিনীর যে জওয়ানরা এই কাজ করছেন তাঁদের হুঁশিয়ার করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মোদী সবসময় ক্ষমতায় থাকবে না। তখন তাঁদের সরকার আসবে সেসময় তাঁদের সঙ্গেই কাজ করতে হবে জওয়ানদের। কাজেই কোনও একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ না করে বাহিনীকে দেশের হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা।