গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে গেছে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু এই মুহূর্তে গোটা দেশেই বইছে প্রবল বিজেপি বিরোধী হাওয়া। পাশাপাশি গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেও টালমাটাল গেরুয়া শিবির। যে কারণে বহু আসনে এখনও প্রার্থীও দিয়ে উঠতে পারেনি তারা। যেমন দিল্লীর সাতটির মধ্যে ৬টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিলেও, উত্তর-পশ্চিম দিল্লী থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা বাকি ছিল। কিন্তু হাজারও টালবাহানার পর অবশেষে আজ, মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটের দিন সেই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি৷ তবে তাতেও এড়ানো গেল না বিতর্ক। কারণ এবার ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপি সাংসদ উদিত রাজের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা ছিল৷ কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে জনপ্রিয় গায়ক হনস রাজ হনসকে প্রার্থী করলেন মোদী-শাহরা৷ যার ফলে বেজায় চটেছেন উদিত রাজের অনুগামীরা।
উল্লেখ্য, এদিনই দলের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন বিদায়ী সাংসদ উদিত। টুইটারে তিনি লেখেন, যে কেন্দ্রের জন্য তিনি কাজ করেছেন সেই কেন্দ্রের হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি৷ তাঁকে দল ছাড়তে বিজেপি নেতৃত্ব বাধ্য করবে না বলেই আশা রয়েছে তাঁর৷ তিনি আরও একটি টুইটে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমি টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছি, না পেলে দলকে বিদায় জানাবো৷ সোমবারই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এই বিষয় নিয়ে তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন৷ তবে বহু চেষ্টা করেও তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলে উঠতে পারেননি৷ উদিতের মতে, দিল্লীর বিজেপি সাংসদদের মধ্যে তিনিই সেরা পারফর্মার৷ শুধু তাই নয়, তিনিই বিজেপির একমাত্র দলিত নেতা৷
তবে তাঁকে টিকিট না দিয়ে মঙ্গলবার হনস রাজ হনসকে প্রার্থী ঘোষণা করার পর উদিত রাজ কী করবেন, সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে এখন৷ শুধু তাই নয়, বিজেপির চিন্তার কারণ এখন গোষ্ঠীকোন্দলও। কারণ উদিত রাজকে টিকিট না দেওয়ার পর দলে তাঁর অনুগামীরা যেভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে, তাতে এই কেন্দ্রে বিজেপিকে বিপাকে পড়তে হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।