গোড়ায় ফ্ল্যাটের জন্য জিএসটি দিতে হত ১৮ শতাংশ হারে। তা কমানোর জন্য চাপ আসে গোটা দেশ থেকেই। তা কমিয়ে তিন শতাংশ করার জন্য সওয়াল করেন অনেকেই। কিন্তু রাজ্যের শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রই গোড়া থেকে তা এক শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য দরবার করেন। শেষমেশ চলতি মাস থেকে আবাসন প্রকল্পের ওপর জিএসটি আরোপের ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম চালু হয়েছে। এতে যেমন সাধারণ ক্রেতারা ফ্ল্যাট কেনার সময় অনেকটা সুবিধা পাবেন, তেমনই আবাসন নির্মাতারাও বিক্রি করার সময় সুবিধা পাবেন। এ রাজ্যের বণিকমহল তাই এই পুরো কৃতিত্বই অমিত মিত্রকে দিতে চান। তাঁর উদ্যোগের প্রশংসা করে ইতিমধ্যেই তাঁকে চিঠি দিয়েছে বণিকসভা।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে ঠিক হয়, ফ্ল্যাট কিনতে আগে যেখানে ক্রেতাকে চড়া হারে জিএসটি দিতে হত, সেখানে এখন থেকে সেই হার দাঁড়াবে এক শতাংশ। ৬০ বর্গমিটার কার্পেট এরিয়ার ফ্ল্যাটের, যার দাম ৪৫ লক্ষ টাকার মধ্যে, উপর চালু হবে ওই জিএসটি। তবে সেই ফ্ল্যাট হতে হবে কলকাতা, মুম্বই বা দিল্লির মতো মেট্রো শহরগুলিতে। মেট্রোর বাইরে সেই ফ্ল্যাটের আকার বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ৯০ বর্গমিটার কার্পেট এরিয়ায় ওই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে ৪৫ লক্ষ টাকার বেশি অঙ্কের ফ্ল্যাট হলে, তার জন্য জিএসটি দিতে হবে পাঁচ শতাংশ হারে। যদি ফ্ল্যাটের আকার ওই সীমারেখার থেকে বড় হয়, তাহলেও পাঁচ শতাংশ হারে জিএসটি প্রযোজ্য। তবে এই সবই নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তৈরি হয়ে যাওয়া ফ্ল্যাট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনও জিএসটি লাগে না।
সম্প্রতি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিতকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। শিল্পমহলের বক্তব্য, গোড়ায় ফ্ল্যাটের জন্য জিএসটি দিতে হত ১৮ শতাংশ হারে। তা কমানোর জন্য চাপ আসে গোটা দেশ থেকেই। তা কমিয়ে তিন শতাংশ করার জন্য সওয়াল করেন অনেকেই। কিন্তু একমাত্র অমিত মিত্রই গোড়া থেকে তা এক শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য দরবার করেন। তিনিই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে চিঠি দিয়ে বলেন, আবাসনের ওপর জিএসটি কমিয়ে এক শতাংশ করা হোক। তাতে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তরা অনেক বেশি সুরাহা পাবে। শুধু তাই নয়, ফেব্রুয়ারির জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেও তিনি প্রসঙ্গ তোলেন এবং এক শতাংশ জিএসটি চালুর বিষয়ে সরব হন। তাঁকে সমর্থন করেন অনেকেই। শেষমেশ অমিতের দাবিকেই মান্যতা দেয় জিএসটি কাউন্সিল।