বিশ্ব দরবারে সমাদৃত রাজ্য সরকারের একের পর এক প্রকল্প। কন্যাশ্রীর পর ‘উৎকর্ষ বাংলা’ এবং ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের মাথায় যে নতুন শিরোপা উঠতে চলেছে, তার আগাম ইঙ্গিত ছিলই৷ বৃহস্পতিবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সুখবর দিলেন৷ জানালেন, রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি বিভাগে পুরস্কার জিতল৷
ওই পোস্টে মমতা লেখেন, ‘আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি ইউনাইটেড নেশনের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফর্মেশন সোসাইটি পুরষ্কার জিতে নিয়েছে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ ও ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প। ১৮টি বিভাগের ১০৬২ মনোনয়নের মধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বিভাগে প্রথম হয়েছে ‘উৎকর্ষ বাংলা’। আইসিটি অ্যাপ্লিকেশনের অধীনে ই-গর্ভমেন্ট বিভাগে প্রথম পাঁচটি চ্যাম্পিয়ান প্রজেক্টের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প। সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এই প্রকল্পগুলি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য। বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের অধীনে প্রতি বছর ৬ লাখ তরুণ-তরুণীকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সঙ্গে ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের অধীনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের দেওয়া হয় সাইকেল। শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। আবার হৃদয়গ্রাহী অভিনন্দন এবং সবাইকে শুভ কামনা জানাই’। এই সাফল্যের নেপথ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা।
২০১৮ সালের ২ জুলাই থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘ আয়োজিত ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটিতে মনোনয়ন পেশ করার সময় ছিল৷ সূত্রের খবর, গতবারের তুলনায় ২১৬ শতাংশ মনোনয়ন বেশি জমা পড়েছিল। মোট ১১৪০ মনোনয়ন জমা পড়লেও প্রাথমিক বাছাইয়ে স্থান পায় ১০৬২টি। পাঁচটি দফায় এরপর চূড়ান্ত নির্ধারণ হয়। এর আগে ২০১৭-এ ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘের জনপ্রশাসন বিভাগে সেরার সম্মান ছিনিয়ে এনেছিল। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হয়েছিল। এবার দেশজুড়ে নির্বাচনের আবহ৷ তাই বিশ্বসেরার পুরস্কার নিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থাকতে পারেননি৷ তাতে অবশ্য তেমন কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর৷ রাজ্যের প্রকল্প এভাবে বিশ্বমহলে স্বীকৃতি পাচ্ছে, তাতেই অত্যন্ত আনন্দিত তিনি৷