স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাবনা। অথচ তাঁর সভার পরদিনই ময়দানে যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকল প্লাস্টিকের গ্লাস-থালা, জলের পাউচ। এদিক-ওদিক পড়ে থাকল মোদী মুখোশ, মোদীর ছবি দেওয়া ব্যানারও। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভার পর এমনই আবর্জনাময় হয়ে থাকল ময়দান। কার্যত আস্তাকুড়ের চেহারা নিল ব্রিগেড।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভার জন্য ব্রিগেডকে বেছে নেন। সভা শেষে মাঠ পরিষ্কার করে দেন তাঁদের কর্মীরাই। চলতি বছরেই দুটি বড় রাজনৈতিক সভা দেখেছে রাজ্য। তবে কোথাও এমন অভিযোগ আসেনি। অথচ সেখানে লোকসংখ্যা ছিল মোদীর সভার চেয়ে অনেক বেশী। কিন্তু চারিদিকে মাংসের হাড়, খাবারের ভুক্তাবশিষ্ট কিংবা জলের গ্লাস পড়ে রয়েছে এমন অভিযোগ করেননি শহরবাসী।
শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র এই ময়দান চত্বর। সবুজ গাছে ঘেরা ব্রিগেডে প্রাতঃভ্রমণে আসেন অনেকেই। চলে ক্রিকেট, ফুটব্লের ক্যাম্প। চড়ে বেড়ায় ঘোড়া। এরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সকলের জন্যই ক্ষতিকর। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিগেডের এমন হাল দেখে যারপনরাই হতাশ শহরবাসী। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সকালে ময়দান চত্বরে আসা প্রাতঃভ্রমণকারীরাও। সকলের দাবি অবিলম্বে পরিষ্কার হোক ময়দান চত্বর। তাছাড়া স্বচ্ছ ভারত অভিযানের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে ময়দান পরিষ্কারের দায়িত্ব নিক বিজেপি, দাবি শহরবাসীর।