কর্মীসভায় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনুব্রত, যাতে অপেক্ষারত ভোটারদের জল-নকুলদানা দেওয়া হয়। নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও বারংবার কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এই কথা। ময়ূরেশ্বরের হাজিপুরের জনসভায় কর্মীদের আবারও সেই নির্দেশ দিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত।
নির্বাচনী আবহে অনুব্রত মণ্ডল কথার প্যাঁচেই বিরোধীদের কুপোকাত করেন। চড়াম-চড়াম ঢাক, গুড়-বাতাসা বিলি, মশা আটকাতে গ্রামে গ্রামে মশারি টাঙানোর বার্তা দিয়েই জনপ্রিয় তিনি৷ নিজের গড়ে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের সমালোচনা করতে ছাড়লেন না অনুব্রত। শুক্রবার এসে অমিত শাহ বিজেপির জয় আবশ্যক বলেই দাবি করেছেন৷ তার পালটা দেন তৃণমূল নেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘আগে তুমি নিজে মুক্ত হও। বাংলার মানুষ নিজেই নিজেদের মুক্ত করবে।’’
অনুব্রত নিজেকে চৌকিদার বলতে রাজি নন।‘ম্যায় ভি চৌকিদার’-এর প্রসঙ্গ তুলেও মোদিকে একহাত নেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি৷ তিনি বলেন, ‘‘কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পড়ুয়া, মজদুরদের চৌকিদারের প্রয়োজন হয় না। চৌকিদার প্রয়োজন হয় নীরব মোদীদের।’’