ভিন্ন পদ্ধতিতে ইউটিউব দেখে বাইক চুরির কৌশল রপ্ত করেছিল কয়েকজন পড়ুয়া। আর তারপর থেকে বছরখানেক ধরে বাইক চুরি করছিল তাঁরা। অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৬ জন পড়ুয়াকে। গত একবছর ধরে এই চক্রটি বাগুইহাটি, কেষ্টপুর, রাজারহাট, নিউটাউনের বিভিন্ন এলাকায় বাইক চুরি করছিল। ধৃতদের কাছ থেকে মোট ১০টি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের ধারণা, শুধু এই ৬ জন নয়, এই বাইক চুরির সঙ্গে আরও বড় কোনও চক্র জড়িত। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সম্পর্কে আরো তথ্য এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ।
বাইক চুরির করার পদ্ধতি ছিল অভিনব। রাস্তায় বা কোনও বাড়িতে বাইক রাখা থাকলে, একজন বাইকের পিছনে বসত। অন্যজন সামনের দিক থেকে বাইকের হ্যান্ডেল ধরে ঘুরিয়ে লক ভেঙে ফেলত। তারপর বাইক নিয়ে সোজা হাওয়া। বিগত এক বছর ধরে বাগুইআটি থানায় বাইক চুরি নিয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। প্রতি ক্ষেত্রেই চুরির ধরন বা কায়দা ছিল এক। কিন্তু কিছুতেই এই বাইক চুরির কিনারা করতে পারছিলেন না পুলিশ। অবশেষে গোপন সূত্র মারফত বাইক চুরি চক্রের খবর পায় বাগুইআটি থানার পুলিশ তারপর চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর এই চুরির পর্দা ফাঁস হয়। বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জন নাবালক-সহ আরো চার জন অর্থাৎ মোট ৬ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।