দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানান হয়েছিল, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছিল, মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর স্বামী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপদেষ্টা আর কে মিত্রর অঙ্গুলিহেলনেই রাজ্যে ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে আগেই তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরে চোরাগোপ্তা ক্ষোভ ছিল। তিনি মালদা এসে পৌঁছতেই এবার সেই ক্ষোভ আরও প্রকাশ্যে চলে এল।
গত বৃহস্পতিবার রাতেই মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে শ্রীরূপার নাম ঘোষণা হয়েছে। তার ঠিক ৫ দিন পর মঙ্গলবার রাতে মালদায় পা রাখেন তিনি। জানা গেছে, মালদা স্টেশনে প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখাই করেননি শ্রীরূপা। অভিযোগ, জেলা সভাপতিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এড়িয়ে গেছেন প্রার্থী। যা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে মালদার ২টি লোকসভা আসনেই দলের কাউকে প্রার্থী করা হয়নি। মালদা উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন খগেন মুর্মু, যিনি সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন। আর মালদা দক্ষিণের শ্রীরূপাও একসময় দিল্লীতে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জেলা নেতৃত্ব এটা ভালভাবে নেয়নি। তার ওপর প্রার্থীর এভাবে এড়িয়ে যাওয়াকেও তাঁরা ভাল চোখে দেখছেন না।
যদিও শ্রীরূপার সাফাই, ‘আমার সঙ্গে ট্রেনে সঙ্ঘ প্রচারক ছিলেন। মালদা স্টেশবে নামতেই প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিল। ভিড়ের কারণেই আমি কারও কাছে পৌঁছতে পারিনি।’ তবে জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে স্টেশনে ছিলাম। প্রচুর সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। অত ভিড়ের মধ্যে আমার সামনে দিয়েই বেরিয়ে যান প্রার্থী। এরপর আমি পার্টি অফিসে চলে আসি। সেখানে বসেই অপেক্ষা করি, যদি তিনি আসেন। আগের প্রার্থীর ক্ষেত্রে এটা হয়নি।’