হাতে বাকি আর মাত্র দু’সপ্তাহ। একেবারে দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু ভোটের আগে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না গেরুয়া শিবিরের। ফের বিপাকে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’। ছবির গান-বিতর্ক, শুটিংয়ের জন্য রেলের কামরা জ্বালানোর পর এবার উঠল নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ। বুধবার ওই অভিযোগে নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’-র প্রযোজকদের নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, আগেই ছবিটির বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। বুধবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নোটিশ পাঠায় দিল্লীর নির্বাচন কমিশন। দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রণবীর সিংহ জানান, আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে ওই বায়োপিকের প্রযোজকদের কমিশনের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, ‘নির্বাচনের সময় সোশ্যাল বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কোনও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে গেলেও আগে থেকে মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটির অনুমতির প্রয়োজন হয়।’
উল্লেখ্য, বিবেক ওবেরয় অভিনীত ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’-র মুক্তির কথা ছিল আগামী ১২ এপ্রিল। তবে পরে দিনক্ষণ পরিবর্তন হয়েছে। এখন মুক্তি পাওয়ার কথা প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের আগে, আগামী ৫ এপ্রিল। এই বায়োপিকের বিরুদ্ধে গত সোমবার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং আরপিএন সিংহের মতো কংগ্রেস নেতারা। কপিল সিব্বলের অভিযোগ ছিল, এই বায়োপিকের সঙ্গে শিল্পকলার কোনও সম্পর্ক নেই। নির্বাচনের আগে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্যই রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই তা তৈরি করা হয়েছে। এই ছবি বন্ধের দাবিও করেছিলেন তাঁরা।
ছবির গান নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। ট্রেলার মুক্তির পর তাতে গীতিকার জাভেদ আখতার ও সমীরের নাম থাকায় তা নিয়েও বিতর্ক হয়। দু’জনেই তাতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, ওই বায়োপিকের জন্য তাঁরা কোনও গান লেখেননি। অভিযোগ উঠেছিল, দুই বর্ষীয়ান গীতিকারের নাম ব্যবহার করে ছবির গানগুলিকে হিট করানোর চেষ্টা চলছে। কেউ কেউ এ দাবিও করেছিলেন যে, এভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করে নেগেটিভ পাবলিসিটি করছেন মোদী-ঘনিষ্ঠ ছবি নির্মাতারা। আর এবার কমিশনের নোটিশের পর ফের বিতর্কের ঘোলাজলে ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’।
জানা গেছে, শুধু ওই বায়োপিকের প্রযোজকই নয়, ছবির মিউজিক কোম্পানি-সহ দু’টি সংবাদপত্রকেও নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন। ওই দুই সংবাদপত্রেই ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’-র বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল।