প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বরাবরই গো-প্রেমিক। গোরুর প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা সর্বজন বিদিত। তাঁর এই প্রীতি এতটাই গভীর যে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্বেও সাধারণ মানুষের জন্যে কাজ না করে, গো-রাজনীতি করতেই ব্যস্ত থাকেন তিনি। আর সঙ্গের সঙ্গী বিদেশ যাত্রা তো আছেই। এই প্রেম-ভ্রমণের চক্করে কখন যে মানুষের মনে তীব্র অসন্তোষ জন্ম নিল, তা খোঁজ নেওয়ার সময় হয়নি। টনক নড়ল ভোটের আবহে। এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতেই পারেনি। তাই শেষ পর্যন্ত গোরুকেই টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থী করতে!
না, বাস্তবে এখনও অবধি এই ঘটনা না ঘটলেও কখনও সত্যি এমনটা হতেই পারে। মোদীর গো-প্রীতির জেরে এমনটা হয়ে যেতেই পারে। ৪২ আসনের মধ্যে এখনও ১৪ আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি। আর এই ১৪ জনকে কার্যত গোরুখোঁজা খুঁজছেন তিনি। এই পরিস্থিতিকেই বেদম কটাক্ষ করে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটা গরুকে ধরে টানছেন, কারণ তিনি ওই গরুকে প্রার্থী করতে চান৷
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভাইরাল হয়েছে এই দেওয়াল লিখনের ছবি৷ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন হাস্যকর মিম বা রঙ্গরসে ভরে উঠেছে নেটদুনিয়ার দেওয়াল৷ তারই মধ্যে নজর কেড়েছে নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি করা এই ছবি৷ প্রশ্ন উঠছে যেখানে তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলা ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে বিজেপি, সেখানে প্রার্থী খুঁজে পেতে তাঁদের এই হিমশিম অবস্থা কেন? মোদী মুখে কুলুপ এঁটেছেন এমন ছবিও ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। বাদ যাননি মুকুল রায়ও। দরজায় দরজায় ঘুরে প্রার্থী চাইছেন এমন মীমেরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
ঘোষিত আসনগুলির মধ্যে বেশিরভাগ আসনেই নতুন মুখই এখন মোদীর ‘অগতির গতি’। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার তৃণমূল থেকে গেছেন। বিশ্বস্ত সৈনিক আর মোদীর কোথায়! গোটা বাংলা জুড়ে যে মোদী বিরোধী হাওয়া বইছে, তাতে এই আবহে ভোটে দাঁড়িয়ে সেই ঝড়ে উড়ে যেতে চাইছেন না কেউই! মোদীর এখন কার্যত ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’ দশা।