চিনের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর দ্বিতীয় সম্মেলনও বয়কট করতে পারে ভারত। চিনা সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিসরি জানিয়েছেন, “কোনও দেশের পক্ষেই এমন কোনও প্রকল্পে যুক্ত হওয়া সম্ভব নয়, যা কোনও একটি অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব এবং প্রাদেশিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করত পারে। যোগাযোগ উন্নত করার প্রকল্প তৈরির সময় খেয়াল রাখা উচিত, যাতে তা কখনই আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব নষ্ট না করে। বেল্ট অ্যান্ড রোড নিয়ে আমাদের অবস্থান সব সময়ই আমরা স্পষ্ট করেই জানিয়েছি”।
ইউরোপ, এশিয়া আর আফ্রিকাকে জল, সড়ক, রেল, পাইপলাইন এবং আকাশপথে যুক্ত করতে এই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের আপত্তি। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিককরিডর নামের এই রাস্তা চিনের কাশগড়কেগ্বাদর সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত করছে আরব সাগরের সঙ্গে। এই রাস্তার একটি অংশ যাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে। তাই ভারতের যুক্তি, এই রাস্তা তৈরি হলে আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বে ভাগ বসাবে চিন।
এই বছরই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে দ্বিতীয় সম্মেলনের আয়োজন করার পরিকল্পনা চিনের। এর আগে ২০১৭ সালে এই সম্মেলন হয়েছিল। কিছু দিন আগেই চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছিলেন, এই দ্বিতীয় সম্মেলনে হাজির থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চিনের এই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগের কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। সেই উদ্বেগ এখন ভারত ছাড়াও অন্যান্য অনেক দেশের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। চিনের এই প্রকল্প নিয়ে অস্বস্তি আছে আমেরিকারও।