‘বাঁকুড়া থেকে জেতাই এখন আমার মূল লক্ষ্য। নির্বাচিত হওয়ার পর বলতে পারব, কী কী কাজ করব। সংসদে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছে পূরণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন মমতা। আমি ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’ আগামী ১৭ মার্চ দলবল নিয়ে বাঁকুড়া যাচ্ছেন তিনি। তার আগে এ কথাই বললেন বাঁকুড়া লোকপ্সভা কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
আগামী ১৮ মার্চ বাঁকুড়ায় সভা করবেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা জেলার পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের দিনই স্ত্রী ছন্দবাণী ও ঘনিষ্ঠ অনুগামী স্বপন মহাপাত্রকে নিয়ে সেখানে পৌঁছে যাবেন সুব্রত। সেদিন থেকেই জেলার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে দেবেনে তিনি। তবে বাঁকুড়ায় প্রার্থী হওয়া সুব্রতর কাছে নতুন নয়। ২০০৯-এ কংগ্রেসে থাকাকালীন বাঁকুড়া থেকে লোকসভার প্রার্থী হয়ে তৎকালীন দাপুটে সিপিএম নেতা বাসুদেব আচারিয়ার ভোট কমিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
সে কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৯-এ বাঁকুড়ায় কংগ্রেসের কোনও সংগঠন ছিল না। সেখানে গিয়ে বুঝেছিলাম, আমাকে একাই সব করতে হবে। কাশীনাথ মিশ্র আমাকে সাহায্য করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু আরও লোকবলের প্রয়োজন ছিল। একা একাই প্রচার করতে হত। তবে ২০১৯-এর রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। বাঁকুড়া এখন তৃণমূলের সাজানো বাগান। বিধায়করা আছেন, পঞ্চায়েত আছে, জেলা পরিষদ আছে। তাই আমার কোনও চিন্তা নেই। তবে হ্যাঁ, পরিশ্রম করতে হবে, প্রচুর সময় দিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী থাকাকালীন বাঁকুড়ায় প্রচুর কাজ করেছেন সুব্রত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় জলের সমস্যারও সমাধান করা হয়েছে। ওখানকার মানুষও ২ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন। ১০০ দিনের কাজেও ভাল ফল করেছে বাঁকুড়া। সে প্রসঙ্গে সুব্রত বলেন, ‘ভোট হবে মমতার উন্নয়ন নিয়ে। বাঁকুড়ায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। মুনমুন সেন বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ। তিনিও এলাকায় ভাল কাজ করেছেন। আমাদের আরও কাজ করতে হবে।’
জানা গেছে, বাঁকুড়ার বিধায়ক, দলের জেলা সভাপতি ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রথমে বিস্তারিতভাবে কথা বলবেন সুব্রত। অরূপ খাঁ’র সঙ্গে কালীঘাটে তাঁর একপ্রস্থ কথাও হয়েছে। অন্যদিকে, ২০০৯ থেকে ২০১৯, এই দশ বছরে সুব্রতর বয়সও বেড়েছে। বয়স বাড়ায় তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না তো? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি যেন এখন আরও বেশি এনার্জি পাই। পরিশ্রম করতে ভালই লাগে। বরং বাড়িতে বসে থাকতে ভাল লাগে না।’