এতদিন নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের নিজস্ব সম্পত্তির তথ্য দিতে হত এবার নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়মে প্রার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত তথ্যও দিতে হবে। শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও বিজ্ঞাপন দিতে হলে নিতে হবে আগাম অনুমতি।
নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে। এ বারের নির্বাচনে তাই কড়া হাতে সোশ্যাল মিডিয়া সামলানোর নির্দেশ দিল কমিশন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লোকসভা ভোটের জন্য যে সোশ্যাল মিডিয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন তাতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রে ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত তথ্যও পেশ করতে হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় আনার আগে যাবতীয় রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনকে শংসাপত্র পেতে হবে। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলি খতিয়ে দেখার জন্য গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবকেও জানিয়েছে কমিশন। এই ধরনের বিজ্ঞাপন নিয়ে অভিযোগ সামলানোর জন্য একজন অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে কমিশন ২০১৩ সালের নির্দেশ সামনে রেখে জানায়, প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের নাম, ছবি ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না। এ দিনও সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেন অরোরা। সম্প্রতি একটি গুজব ছড়ায়, যাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে, তাঁরা অনলাইনে ভোট দিতে পারবেন। কমিশন জানিয়েছে, প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য এমন কোনও বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে না।
সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, রাজ্য এবং জেলা স্তরে ‘মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি’ রয়েছে। এর সঙ্গে প্রতিটি স্তরে একজন করে সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে হলে এই কমিটির কাছ থেকে শংসাপত্র নিতে হবে। বাল্ক এসএমএস ও ভয়েস মেসেজকেও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন হিসেবে গণ্য করা হবে। ‘পেইড নিউজ’-এর দিকে কড়া নজর থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার। আর পাঁচটা ক্ষেত্রে যেমন নির্বাচনী আচরণবিধি থাকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠিক সেটাই বলবৎ থাকবে। প্রার্থী সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কত খরচ করছেন, বিশেষ দল তৈরি করে তার জন্য কত খরচ করছেন, তা-ও বিশদে জানাতে হবে।
ভোটারদের সমস্যা সমাধানের জন্য খোলা হচ্ছে হেল্পলাইন নম্বর, ১৯৫০ এখানে ফোন করতে পারবেন ভোটাররা। সমস্ত ইভিএমে প্রার্থী তালিকায় দলীয় চিহ্নের সঙ্গে থাকবে প্রার্থীর ছবিও। নতুন এক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমেও জানানো যাবে ভোট সংক্রান্ত অভিযোগ।