রবিবার বিকেলে ১৭ তম লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। তার আগেই হাবড়ার কলতান হলে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিসভার আয়োজন করে জেলা তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এলাকার অভিজ্ঞ কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কমিটি গঠন করে দেন জ্যোতিপ্রিয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোন বক্তা আসছেন, তাঁকে কে নিয়ে আসবেন, এলাকার কোথায় কোথায় জনসভা হবে, সেখানে যে যে নেতারা বক্তব্য পেশ করতে আসবেন, তাঁদের সভাস্থলে যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি ব্যবহার করা হবে, সেই গাড়ির ব্যবস্থা করা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ওই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, হাবড়া বিধানসভায় মোট ২৫০টি বুথ রয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য গতকালের প্রস্তুতিসভায় বুথ লেভেল কমিটি গড়ে দেওয়া হয়। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রতিটি বুথের জন্য ১০ জন করে পুরুষ এবং মহিলা কর্মী নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। আর তাঁরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কথা ভোটারদের বিস্তারিতভাবে বলবেন। এখন থেকে প্রতিদিন তাঁরা এলাকায় ভোট প্রচারের কাজে নেমে পড়বেন।
মন্ত্রী জানান, কর্মীরা সকালে নিজের পেশাগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই ঠিক হয়েছে, কাজে যাওয়ার আগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এই এক ঘণ্টা দলের জন্য দেবেন। এরপর তাঁরা যে যার ব্যক্তিগত কাজে বেরিয়ে যাবেন। কাজ সেরে ফের সন্ধে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত দলের জন্য তাঁরা সময় দেবেন। এই সময় তাঁরা নিজস্ব বুথ এলাকায় প্রতিদিন সকালে ২০টি এবং সন্ধেয় ২০টি বাড়িতে যাবেন। এইভাবে প্রতিদিন মোট ৪০টি বাড়ি ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি এ-ও জানান যে, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, যুবশ্রীর মতো যে সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু আছে, তাই কী কী সুযোগ সেই বাড়ির সদস্যরা পাচ্ছেন, তা একটি খাতায় নথিভুক্ত করতে হবে। আমাদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন, তাতে কোন কোন বাড়ি একাধিক প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছেন, এমন সংখ্যা অনেক পাওয়া যাবে। তাই সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তৃণমূলের পাশে থাকার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করা হবে। এভাবেই জনসংযোগ বাড়ানো হবে।
জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, ‘নির্বাচনী প্রচারে আগে আমরা যেখানে ওপর থেকে নিচে নামতাম, এখন নিচ থেকে ওপরে উঠব। এলাকায় যে সব অভিজ্ঞ কর্মী রয়েছেন, তাঁদের সকলকে সসম্মানে নির্বাচনী কাজে লাগানো হবে। তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হবে।’