দু’মিনিট দেরি হবার দরুন ধরতে পারেননি বিমান তার ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন গ্রিসের নাগরিক আন্তোনিস মাভরোপুলসের। কিন্তু সাপে বর হল তাঁর বিমানে সঠিক সময়ে পৌঁছতে না পারা। বিমানবন্দরের কর্মীদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি কিন্তু এখন নিজেই তাঁর ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন কারণ ওই মিনিট দু’য়েকের দেরির ফলেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।
রবিবার নাইরোবিগামী ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইন্সের ওই বিমান ইটি-৩০২ ফ্লাইট ওড়ার ছ’মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ে। উড়ানের ৮ বিমানকর্মী ছাড়াও ১৪৯ জন যাত্রীর কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে তিনি জানিয়েছেন, রবিবারটা ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে ‘লাকি ডে’। গ্রিসের নাগরিক আন্তোনিস নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই দিনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে পোস্ট করেছেন ওই উড়ানের টিকিটও।
ওই উড়ান ধরতে না পারায় ফের একটি বিমানের টিকিট কাটেন আন্তোনিস। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই উড়ানে আন্তোনিসকে উঠতে বাধা দেন। তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিমানবন্দরের থানায়। আন্তোনিস জানিয়েছেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যান। যথারীতি থানায় গিয়ে তিনি তাঁর ক্ষোভের কথা উগরে দেন কিন্তু তারপর তিনি জানান, “থানার অফিসার জানান, ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ জানান। কারণ আপনিই একমাত্র যাত্রী যিনি ওই ফ্লাইট মিস করেছেন।”
ইন্টারন্যাশনাল সলিড ওয়েস্ট অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রেসিডেন্ট আন্তোনিস জানিয়েছেন, গত কাল রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ সংক্রান্ত বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। এই ঘটনা তিনি তাঁর ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। টিকিটের ছবিও পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, “প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলাম। কারণ, কেউ আমাকে সময় মতো গেটে পৌঁছতে সাহায্য করেননি। তবে রবিবার আমার লাকি-ডে ছিল”।