বাংলার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের দিকে নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মময়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই বাংলার বেকারত্ব কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। রাজ্যে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্প তালুকে চাকরি পাচ্ছে বহু ছেলেমেয়ে। এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পাশাপাশি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে গোঘাটে তৈরি হল দু’টি কর্মতীর্থ। বুধবার হাওড়ার সভা থেকে এর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ও অনুপ্রেরণায় ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আর্থিক সাহয্যে এই ২ কর্মতীর্থ গড়ে উঠেছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পাশাপাশি বেকার যুবকরাও এখানে স্টল পাবেন। কাজের মাধ্যমে তাঁরা যাতে স্বনির্ভর হতে পারেন তাই এই উদ্যোগ। মূলত পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে এই গুলি তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে এখানে। খুব শীঘ্রই স্টলগুলি বিতরণ করা হবে। স্বনির্ভর করে তুলতে এখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে।
কর্মতীর্থের কাজ নিয়ে বিধায়ক মানস মজুমদার বলছেন, “এখনও কিছু কাজ বাকি আছে। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই কর্মতীর্থ দুটি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবার থেকে তারাই এগুলো দেখাশোনা করবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে”। গোঘাট ১ ব্লকে ভিকদাস সংলগ্ন এলাকায় এই কর্মতীর্থটি গড়ে উঠেছে। বিধায়ক ছাড়াও এখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডিও অনন্যা ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল। ত্রিতল এই কর্মতীর্থটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। এখানে মোট ২৬টি ঘর রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে দুটি গোডাউন।
অন্যদিকে, গোঘাট ২ নম্বর ব্লকে কর্মতীর্থটি কামারপুকুর ডাকবাংলো এলাকায় তৈরি হয়েছে। এখানে উপস্থিত ছিলেন বিডিও অরিজিৎ দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি প্রমুখ। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৩৪ হাজার টাকা। এখানেও ২৬টি ঘর রয়েছে। রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অর্থে দুটি কর্মতীর্থ গড়ে উঠেছে।