পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। উঠছে দেশপ্রেমের জিগিরও৷ আর এই দেশপ্রেমকে পুঁজি করেই ভোটের আগে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি৷ যেমন ছিল রবিবারের বিজয় সংকল্প যাত্রা। পুলিশের অনুমতি নেই। বাইকচালক ও আরোহীদের হেলমেট নেই। আর সর্বোপরি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য ছিটেফোঁটা সৌজন্যতাবোধও নেই। নিজেদের বিচারবুদ্ধিকে ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে এভাবে অবিবেচকের মতোই গোটা রাজ্যজুড়েই বাইক মিছিল বের করে বিজেপি। তবে সবচেয়ে বড় বিতর্ক হল ওদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘পুলিশ’ স্টিকার সাঁটা গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ানোয়।
সোমবার ওই বিষয়ে তাঁর নামে বর্ধমান ও দুর্গাপুর থানায় দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার পরেই পুলিশ সাদা-হলুদ রঙের ‘WB 08 B 6307’ নম্বরের গাড়িটি সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করেছে। প্রশ্ন এই যে, কী করে দিলীপ ‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করলেন? আরও প্রশ্ন উঠছে যে, একটি প্রাইভেট গাড়িতে কী করে ‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো থাকে? এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চলেছে জেলা পুলিশ। গাড়িটির মালিক কে, সে বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার দুর্গাপুরে রাজীব গান্ধী মেলা ময়দানে দলীয় কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। বাইক মিছিলের অনুমোদন না থাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বাদানুবাদও হয়। তার কিছু বিতর্কিত গাড়িটিতে চড়ে সেখানে পৌঁছন দিলীপ। গাড়ির চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। চালকের সামনে উইন্ডস্ক্রিনে সাঁটা ছিল ইংরেজিতে ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকারটি। ড্যাশবোর্ডে রাখা ছিল বিজেপির পতাকা। এ বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতারা মুখ খুলতে রাজি হননি।
সমালোচনার মুখে পড়ে দিলীপ বলেন, ‘স্টিকার নয়। সাদা কাগজে পুলিশ লিখে লাগানো ছিল। গাড়িতে নিরাপত্তারক্ষী (পিএসও) ছিলেন।’ দিলীপের সাফাই, গাড়িতে রক্ষী থাকার বিষয়টি যাতে বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায়, সে কারণেই সামনে ‘পুলিশ’ লেখা।