আবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়কে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ছুড়েছিলেন বিজেপির টাকা আসছে ট্রেনে করে, এত টাকা ওরা পাচ্ছে কোথায়। মমতার ন্যায্য প্রশ্নে ভয় পেয়ে গিয়েই দিলীপ বললেন, ইচ্ছে করলে পুরো তৃণমূলটাই কিনে নিতে পারি! এহেন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
কিছুদিন আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী একটি অডিও ক্লিপিংস শুনিয়ে অভিযোগ করেন, জেডিএস-কংগ্রেসের জোট সরকারকে ভেঙে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। এই অডিও ক্লিপিংসই তার বড় প্রমাণ। আবার কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও অভিযোগ করেন যে, রাজ্য কংগ্রেসকে ভাঙতে চেয়ে বিধায়কদের ১০ কোটি ঘুষও দিতে চেয়েছে বিজেপি। কুমারস্বামীর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে জেডিএসের বিধায়ক কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি শীর্ষনেতা। সেই সঙ্গে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি।
এই ঘটনার পরে স্পষ্ট হয়ে গেছিল বিজেপি ‘কেনা-বেচার’ রাজনীতি করে। মমতার সরকারের প্রতি ই মন্তব্য করেই সেই মতেই আরও শীলমোহর দিলেন দিলীপ। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই নিজের অবস্থান সঠিক রাখতে তিনি বলেন, বিজেপি বেচাকেনার রাজনীতি করেন না। যদিও তীর ততক্ষণে হাত থেকে বেরিয়ে গেছে।
বিজেপির এই ঘৃণ্য চালকে আটকানোর জন্যে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। রাজ্যে গুজব ছড়ানোর পেছনে বিজেপি ও আরএসএসের হাত আছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নানাভাবে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে আরএসএস ও বিজেপি। সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে তারা। কাউকে বোরখা পরে কোনও মহল্লায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর রটানো হচ্ছে ছেলেধরার গুজব। এর ফলে বেশ কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে’। এমন ঘটনা ঘটলে দ্রুত পুলিশকে জানানোরও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।