গত চার-পাঁচ বছরে বাংলায় ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এবার তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলারের গন্ডি পেরোবে। এর পাশাপাশি তারা লজিস্টিক্স, সামাজিক সুরক্ষা এবং নগরোন্নয়নের মত ক্ষেত্রগুলিতে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন।
বাংলায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই বিপুল বিনিয়োগের অন্যতম কারণ হল গত সাত বছরে রাজ্য সরকারের আর্থিক নীতি। ফিস্কাল রেস্পন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে বাংলা যা যা উদ্যোগ নিয়েছে তাও বিশ্ব ব্যাঙ্ককে মুগ্ধ করেছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব ব্যাঙ্ক মিউনিসিপ্যালিটি এবং পুরসভাগুলির সঙ্গে কাজ করতে চায় যাতে কর আদায় বাড়ে, রাজস্বের ব্যবস্থাপনা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অনুমোদিত অর্থের ব্যবহার যথাযথ হয় এবং রাস্তা তৈরী, বাজার তৈরী, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত প্রকল্পগুলি ভালোভাবে এগিয়ে চলে।
উল্লেখ্য, বরাবরই বাংলার চলা উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের ভূয়সী প্রশংসা করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। যেমন ২০১০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে গ্রাম পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়, ইন্টিগ্রেটেড স্ট্রেনদেনিং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রজেক্ট (আইএসজিপিপি)।
সেই প্রকল্পের রিভিউ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বব্যাঙ্ক দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরুর জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬২০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছিল। যার কাজ শেষ করার জন্য সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে রাজ্যগুলির জন্য বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার আগে মাত্র দু’বছরের মধ্যেই সেটা অতিক্রম করে ফেলেছে বাংলা।
খোদ বিশ্বব্যাঙ্কের অফিসাররা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মাত্র দু’বছরেই রাজ্য ১৬২০ কোটি টাকার মধ্যে ৪৯.৪ শতাংশ অর্থ খরচ করে ফেলেছে। যা গোটা দেশের কাছেই এক অনন্য নজির।