রবিবার মহেশতলায় কস্তুরী দাস মেমোরিয়াল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন হল পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের উদ্যোগে এবার এই হাসপাতালের কাজটি সম্পূর্ণ হল। এখন আর এখানকার মানুষকে চিকিৎসার জন্য মধ্য কলকাতায় যেতে হবে না।
১৯৭৬ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর শাসনকালে সরকারিভাবে মহেশতলায় মোল্লারগেট কলোনির বি-ব্লকে ১০ বিঘা জমি দেওয়া হয়েছিল হাসপাতাল তৈরির জন্য৷ কিন্তু সে কাজ হয়নি। এখন ৮ বিঘা জমিতে হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয় মহেশতলা পুরসভা।
৩৫০ আসন বিশিষ্ট এর হাসপাতাল তৈরির জন্য ৭০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এখানে থাকছে ১২টি বহির্বিভাগ। ১০০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকছেন এখানে। এছাড়াও ১০টি অপারেশন থিয়েটার করা হয়েছে।
মহেশতলা পুরসভা হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে। এই নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছে পুরসভার সাথে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৫০ জন গরিইব মানুষকে বিনা পয়সায় বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে। অন্তর্বিভাগ চালু হলে সেখানে ১৫ শতাংশ আসন গরিব মানুষের জন্য থাকছে। এতে অনেক সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
বেসরকারি সংস্থার অধিকর্তা ডাঃ সত্যনারায়ণ শর্মা বলেন, “বাইরের অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এখানে সব চিকিৎসা, পরীক্ষা, অপারেশনে সব মিলিয়ে ২৫-৩০ শতাংশ কম খরচে পাওয়া যাবে”। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় উদ্বোধন করতে এসে বলেন, ” মহেশতলায় একমাত্র ভালো হাসপাতাল ছাড়া আর সব ছিল। সেজন্য দুর্ভোগে পড়তে হত মানুষকে”। এদিনের অনুষ্ঠানে বিধায়ক অশোক দেব, বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত, বিধায়ক পরেশ পাল হাজির ছিলেন।