২০১৬-য় বিহারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দুর্নীতি গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল বিহারের শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়েও। কখনও গণটুকলি, আবার কখনও ভুয়ো পরীক্ষার্থী নিযে বারে বারেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বিহারের শিক্ষাব্যবস্থায়। আবারও প্রকাশ্যে এল বিহারের শিক্ষা ব্যবস্থার গাফিলতি। জুনিয়র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষার মেধা তালিকা সামনে আসার পরই হই চই সরকারি দফতরে। পরীক্ষায় টপারের নাম দেখে তো ভিরমি খাওয়ার দশা। সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন সানি লিওন!
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ২০০টি পোস্টের জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ১৭ হাজার ছাত্রছাত্রী। তার মধ্যে জুনিয়র সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদের মেধা তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই দেখা যায় একদম শীর্ষে রয়েছে সানি লিওনের নাম। মোট ৯৮.৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন সানি। যার মধ্যে ৭৩.৫ শতাংশ শিক্ষা সংক্রান্ত ও বাকি ২৫ শতাংশ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। ৩৮ বছরের অভিনেত্রী সানি কী ভাবে বিহারের ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার টপার হতে পারেন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে।
৯৮.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে এই মুহুর্তে বিহারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদের টপার সানি লিওন। পরীক্ষার মার্কশিটে জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। সেই মার্কশিট ভাইরাল হতেই আসরে নেমেছেন নেতা-মন্ত্রীরা। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারকে খোঁচা দিয়ে টুইট করে তেজস্বী যাবদ লিখেছেন, “রাজ্য সরকারের তো এটাই নীতি, ফারজি (ভুয়ো) টপার বানাও, ফারজি নকরি পাও।”
যদিও সাফাই গেয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী বিনোদ নারায়ণ ঝা জানিয়েছেন, কোনও ভাবে নাম নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আসলে বলি নায়িকা সানি নন, এই পরীক্ষার টপার সানি লিওন নামে কোনও ছাত্রী। তাঁর বাবার নাম লিওনা লিওন। তবে গোটা বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই ঘটনায় যে বিহারের সরকারের ব্যর্থতা আবারও স্পষ্ট হল তা বলাই বাহুল্য।