সোমবার প্রায় দু’বছর পর সোমবার নতুন চেহারায় খুলল সায়েন্স সিটির স্পেস থিয়েটারের দরজা। দর্শকরা পেলেন থ্রি-ডি চশমা। থিয়েটারের ছ’টা প্রজেক্টরের সঙ্গে বৈদ্যুতিন সঙ্কেতের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে এই ‘স্মার্ট’ চশমা ডোমের উপর ২ কোটি ৮০ লক্ষ পিক্সেলের ছবি দেখাতে শুরু করল দর্শকদের।
সোমবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা দিল্লি থেকে এই থিয়েটারের উদ্বোধন করেন। তেইশ মিটার ব্যাস এবং একই সঙ্গে পৃথিবীর অক্ষরেখার সঙ্গে মানানসই করে ২৩ ডিগ্রি কোণে হেলানো এই ডোম সায়েন্স সিটির স্পেস থিয়েটারকে দেশের সেরা ফুলডোম ডিজিটাল থিয়েটারের রূপ দিয়েছে। থিয়েটারে দেখানো হয় দু’টো ত্রিমাত্রিক ছবি, ‘দ্য লাইফ অফ দ্য ট্রিজ’ এবং ‘অ্যাস্টেরয়েড: মিশন এক্সট্রিম’।
দুর্দান্ত প্রদর্শন ও ঝকঝকে ছবিতে প্রথম দিনেই দর্শকের মন জয় করেছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্স মিউজিয়ামের ডাকে প্রথম দিনের প্রদর্শন দেখতে এসেছিল বেশ কিছু স্কুলপড়ুয়া। গাছের জীবনচক্র ও মহাকাশের চমকপ্রদ দৃশ্য দেখে রীতিমতো আল্পুত। ক্লাস নাইনের এক পড়ুয়া বলল, ‘বইয়ে পড়ছিলাম, এ বার দেখলাম। যা দেখলাম, এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।’
খুশির ঝলক দেখা গেল সায়েন্স সিটির অধিকর্তা শুভব্রত চৌধুরী মুখে। তিনি বলছেন, ‘যে সিনেমা আমরা দেখাব, সেগুলো ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা এবং হিন্দিতেও ডাব করা হবে। টিকিটের দামে একটু হেরফের করা হয়েছে। আগে দ্বিমাত্রিক ছবি দেখার জন্য ৬০ টাকার টিকিট কাটতে হত, তা বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। ত্রিমাত্রিক ছবি টিকিটের দাম ১২০ টাকা। ২০ জনের দলে এলে থ্রি-ডির টিকিট ১০০ টাকায় পাওয়া যাবে।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এম পি বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারি। তিনি বলেন, ‘এমন নয় যে আমাদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হল। এটা আমাদের পরিপূরক। আমরা শুধুই জ্যোর্তিবিদ্যা দেখাই, এখানে সব দেখা যাবে।’