মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছেন, যে দল যেখানে বেশি শক্তিশালী সেই দলই সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। তাহলেই বিজেপিকে হারানো অনেক সহজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলা। তিনিও যে সেই ফর্মুলা মেনেই চলবেন, সেটাই স্বাভাবিক। এবার খোদ রাজধানীর বুকে দাঁড়িয়ে মমতা ঘোষণা করে দিলেন, বাংলায় একাই লড়বে তাঁর দল। রাজ্যে অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট করবে না তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শরদ পাওয়ারের বাড়িতে রাহুল গান্ধী, চন্দ্রবাবু নাইডু, ফারুক আবদুল্লা এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠকেই ভোটের আগে জোট গড়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছিল। সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ্যে সেকথা জানিয়েও ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু বাংলার লড়াইটা নিয়ে তখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের মমতা জানান, বাংলায় একাই লড়বে তৃণমূল। কারণ এক্ষেত্রে তিনি যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে লড়াইয়ের নীতিতে বিশ্বাসী। সেকারণেই রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস একাই লড়ছে। অন্য রাজ্যে যাঁরা জোট গড়েছেন তাঁরা গুরুত্ব বুঝেই জোট করেছেন বলে জানান মমতা।
গতকাল রাজ্যের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং সিবিআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ জানান মমতা। প্রায় ২০ মিনিট রাষ্ট্রপতি ভবনে বৈঠক করেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাঁদের সিবিআই, ইডি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে মোদী সরকার। আর যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তাঁরা নির্দোষ হয়ে যাচ্ছেন। অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ মমতার। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, বাংলায় ‘একলা চলো’ নীতিতেই আস্থা রাখছে তাঁর দল। অর্থাৎ জাতীয় স্তরে জোট বেঁধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও রাজ্যে একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন তৃণমূল নেত্রী।